বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে স্পষ্টবক্তা হিসাবেই পরিচিত প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতার (javed akhtar)। নিজের সামাজিক ও রাজনৈতিক বক্তব্য এবং মতামত প্রকাশে কোনওদিনই ইতস্তত করতে দেখা যায়নি তাঁকে। সম্প্রতি মাইকে আজান বাজানো নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর মতে বিষয়টা খুবই ‘অসুবিধাজনক’। টুইটে তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করতেই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। তার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ যুক্তিপূর্ণ ভাবে সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন জাভেদ আখতার।
টুইটে জাভেদ আখতার লেখেন, ‘ভারতে প্রায় ৫০ বছর ধরে মাইকে আজান বাজানোকে হারাম মানা হত। তারপর তা হালাল হয়ে যায় এবং তা এতটাই যে এর কোনও সীমা রইল না। আজান ভাল কিন্তু মাইকে সেটা করা অন্যদের পক্ষে অসুবিধার কারন হতে পারে।’
Voh mandir ho ya masjid . Kabhi kisi festival per loud speaker ho to chalo theek hai .Magar roz roz to na mandir mein hona chahiye na Masjid mean .For more than thousand years Azaan was given with out the loud speaker Azaan is the integral part of yourfaith not this gadget .
— Javed Akhtar (@Javedakhtarjadu) May 9, 2020
এরপরেই একাংশ তুমুল সমালোচনা শুরু করে গীতিকারের। এক টুইটার ব্যবহারকারী পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের এখানে মন্দিরে প্রতিদিন লাউড স্পিকারে ভজন বাজে। এবার কি বলবেন আপনি?’ উত্তরে জাভেদ লেখেন, ‘মন্দির হোক বা মসজিদ, কোনও উৎসব উপলক্ষে মাইক বাজলে ঠিক আছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা না মন্দিরে হওয়া উচিত না মসজিদে। হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মাইক ছাড়াই আজান হয়ে এসেছে। এটা বিশ্বাসের একটা অঙ্গ।’
So are you suggesting that those Islamic scholars who had declared the loud speaker haraam for almost fifty years were all wrong and didn’t know what they are talking about . If you have the guts then say so then I will tell you names of those scholar .
— Javed Akhtar (@Javedakhtarjadu) May 9, 2020
এরপরেও সমালোচনা থামেনি। অপর এক ব্যক্তি টুইট করে মন্তব্য করেন, ইসলাম ও তার বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়ে মন্তব্য না করতে। জাভেদ আখতার পাল্টা লেখেন, ‘তাহলে আপনি বলতে চাইছেন যারা ৫০ বছর ধরে মাইকে আজান বাজানোকে হারাম বলেছেন তারা ভুল ছিলেন? যদি আপনি চান তাহলে সেই জ্ঞানী মানুষদের নামও বলতে রাজি আছি আমি।’