কর্ণাটকের হিজাব-বিতর্কে সরব জাভেদ আখতার, টুইটে হিন্দুত্ববাদীদের উপর উগরে দিলেন ক্ষোভ

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কর্ণাটকে (karnataka) ‘হিজাব বিতর্ক’ (hijab controversy) নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা দেশে। উত্তরোত্তর বিক্ষোভ যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে পড়ুয়াদের মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হওয়ার আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক মহল। এবার বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান গীতিকার জাভেদ আখতার (javed akhtar)।

সম্প্রতি সোশ‍্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর জেরে বিক্ষোভের আগুন চড়চড়িয়ে বেড়েছে। ভিডিওটি কর্ণাটকের এক কলেজের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একদল হিন্দুত্ববাদী যুবক জোর গলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিচ্ছে। পালটা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেন বোরখা পরা এক তরুণী। ভিডিওটি বিভিন্ন মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

ভিডিওটির প্রতিক্রিয়া দিয়ে টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জাভেদ আখতার। তিনি লিখেছেন, ‘আমি কোনোদিনই হিজাব বা বোরখাকে সমর্থন করিনি। আমি নিজের বক্তব‍্য অনড়। কিন্তু সেই সঙ্গে এই গুণ্ডাদের দলের প্রতিও আমার তীব্র ঘৃণা জন্মাচ্ছে যারা মেয়েদের একটা ছোট দলের উপরে চড়াও হয়েছে। তাও আবার অসফল ভাবে। এটাই কি তাদের ‘পুরুষত্ব’? কী লজ্জা!’

উল্লেখ‍্য, কর্ণাটকের শিক্ষা আইন, ১৯৮৩ র ১৩৩ (২) ধারা অনুযায়ী, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব পড়ুয়াদের জন‍্যই কলেজের তরফে পোশাক বেছে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে নতুন করে বিতর্কের পালে হাওয়া লাগে। কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া হিজাব পরা শুরু করলে পালটা বিক্ষোভ দেখায় হিন্দুত্ববাদী পড়ুয়ারা।


বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ‍্যেই রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কর্ণাটক সরকারকে তুলোধনা করেছেন। তাঁর কটাক্ষ, শিক্ষার পথে হিজাবকে বাধা করে দিচ্ছে কর্ণাটক সরকার। কিন্তু দেবী সরস্বতী তো কখনো কারোর মধ‍্যে বিভেদ করে না। অন‍্যদিকে কর্ণাটক সরকারের দাবি, তাঁদের নিয়মে কোনো ভুল নেই। উলটে কংগ্রেস নেতাই সাম্প্রদায়িকতাকে তোল্লাই দিচ্ছেন।

X