বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘JNU কখনই দেশবিরোধী বা ‘টুকড়ে টুকড়ে’ গ্যাংয়ের অংশ ছিলনা।’ সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jawaharlal Nehru University) ভাইস চ্যান্সেলর এম এস পণ্ডিত। দিল্লিতে এজেন্সির সদর দফতরে প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার সম্পাদকদের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন JNU এর প্রথম মহিলা উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত। তিনি বলেন, JNU এর কোনও ‘গেরুয়াকরন’ হয়নি। এবং কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনোরকম প্রভাব খাটানো হয়না এই মন্দিরে।
অবশ্য তিনি এটা অস্বীকার করেননি যে, তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন ক্যাম্পাসটি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। এবং তার দাবি এতে পড়ুয়া এবং প্রশাসন উভয় পক্ষেরই যথেষ্ট দোষ ছিল। সেই সাথে তিনি জোর গলায় এটাও বললেন যে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) এর সাথে তার সংযুক্তির জন্য অনুশোচনা তো করেনই না পাশাপাশি এটা কখনও গোপনও করেননা।
গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মগ্রহণ থেকে চেন্নাইয়ের একটি মধ্যবিত্ত দক্ষিণ ভারতীয় পরিবারে বেড়ে ওঠা পর্যন্ত তার জীবনের গল্প বললেন শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত। তিনি বেশ জোর গলাতেই বলেন, ‘সঙ্ঘি ভাইস চ্যান্সেলর’ হতে পেরে গর্বিত যিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে QS র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান দিয়েছেন।’ তার কথায় JNU জাতির কোনও বিশেষ পরিচয় নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই সমস্ত বিতর্কের উর্দ্ধে ওঠা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন : ফের একবার গম্ভীরের নিশানায় ধোনি? ক্রিকেট দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলল গোতির মন্তব্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দিল্লির স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় JNU হামেশাই বিতর্কের মধ্যমণি হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছরে একাধিক অভিযোগ উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। কখনও দেশ ভাগ করার জন্য ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ তো কখনও আবার দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ। এরকম নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বাম সংগঠনগুলির গড় JNU। আর এবার সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন খোদ ভাইস চ্যান্সেলর শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত।