বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নাই বা থাকলো রক্তের সম্পর্ক, কিন্তু দেশ মায়ের সেবা করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন তরতাজা রাজেশ ওরাং (Rajesh Orang)। কারও পরিচয় ছিলো। কেউবা আবার শহীদ হওয়ার পর তার নাম শুনেছেন। তাতে কি! রিয়েল লাইফের হিরোকে একবার চোখের দেখা দেখতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেন অসংখ্য মানুষ। এদিকে সকাল থেকেই নেতা থেকে মন্ত্রী সমবেদনা জানাতে হাজির হলেন রাজেশের বাড়িতে।
ভারত চীন যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামের যুবক রাজেশ ওরাং। তার মরদেহ বৃ্হস্পতিবার গ্রামে আসার কথা ছিলো। ভোর থেকেই যুদ্ধাকালীন তৎপরতায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল গান স্যালুট দেওয়ার মাঠ তৈরি থেকে রাস্তা মেরামতির কাজ। এদিকে সকাল হতেই রাজেশকে একবার চোখের দেখা দেখতে ভীড় জমাতে শুরু করেন অসংখ্য মানুষ।
বেলা যত বেড়েছে ততই দুরদুরান্ত থেকে আসা লোকজনের ভিড়ও বাড়তে থাকতে থাকে। দুপুরের বৃষ্টি তাদের পথ আটকাতে পারেনি। উল্টে বৃষ্টিকে থোরাই কেয়ার করে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেছেন বিভিন্ন বয়সের কত যে মানুষ তার ইয়ত্তা নেই। সবার একটাই কথা সিনেমাতে দেখি শহীদদের। কিন্তু সেতো রিয়েল লাইফ। রিয়েল লাইফের শহীদ রাজেশকে দেখতে এসেছি। ইতিমধ্যেই চীনা পণ্য বয়কট করতে শুরু করেছে ভারতীয়রা। পাশাপাশি তারা বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেন।
পৌঁছেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, লকেট চ্যাটার্জী সহ -বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা। এদিন সন্ধ্যায় প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেই আসেন শহীদ রাজেশ ওরাং এর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তারা। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” চিন ভারতকে আক্রমন করছে। আমাদের জওয়ানরা জবাব দেওয়ার পরই শহীদ হয়েছেন। আমরা তাদের জন্য গর্বিত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এর বদলা নেওয়া হবে। আমরা এখানে এসেছি।
আমাদের দল শহিদের পরিবারের পাশে থাকবে। সকল ভারতীয়কে এক হতে হবে। এক হয়ে প্রধানমন্ত্রী জবাব দেবেই। শহিদ হয়েছেন, দেশের জন্য নিজেদের বলিদান দিয়েছেন এবং আমাদের পশ্চিম বাংলা থেকে ২ জন শহিদ হয়েছেন। তাদের পরিবারের কাছে এসেছি, তাদের সমবেদনা জানাতে, শ্রদ্ধা জানাতে। যারা বলিদান দিলেন, প্রান নিয়ে গেল, যারা এটা করেছেন চীন বা চায়না তাদের জবাব প্রধানমন্ত্রী মোদিজী দেবেন।