বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রকাশ্যে দল বিরোধী মন্তব্যের জেরে অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কোপের মুখে পড়লেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sarkar)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যেই জহর সরকারকে বের করে দেওয়া হয়েছে। মোট ১৩ জন সাংসদের এই গ্রুপটি থেকে তাঁকে বের করার মাধ্যমে দল তাদের কঠোর মনোভাব প্রকাশ করল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক দুর্নীতি মামলায় একেই অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মাঝে দলের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেউ মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রীকে। সম্প্রতি সেই তালিকায় যুক্ত হয় জহর সরকারের নাম। কয়েকদিন পূর্বেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যখন টিভি দেখছিলাম, তখন এক প্রকার বিশ্বাস হয়নি। কারোর বাড়ি থেকে এত পরিমান টাকা কিভাবে বেরোতে পারে? কল্পনার অতীত।
এরপরই তিনি দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, “টিভিতে খুব কমই দেখা যায় এমন দুর্নীতির দৃশ্য। কেমন যেন গা শিরশির করছে। দলের যা পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করা যাবে না।”
জহর সরকারের এহেন মন্তব্যের ফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল শিবির। পরবর্তীতে তাপস রায় থেকে শুরু করে সৌগত রায়রা তাঁর বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে দেয়। এর মাঝেই আবার সূত্র মারফত জানা যায় যে, তৃণমূলের তরফ থেকে জহর সরকারকে সম্মানের সাথে দলের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া হয়। আর এদিন দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাঁকে বাদ দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার মনোভাব দেখানো হলো বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অতীতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক সময় সমালোচনায় সরব হতে দেখা যায় জহর সরকারকে। এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের দলের বিরুদ্ধেই বেফাঁস মন্তব্য যে কোনোভাবেই ভালো চোখে দেখছে না তৃণমূল নেতৃত্ব, তা এদিনকার ঘটনার পরই স্পষ্ট।