বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা (yashwant sinha)। এর আগে তিনি বিজেপির সাংসদ ছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ওনার সঙ্গে বিজেপির দুরত্ব বাড়তে থাকে। এরপর ২০১৮ সালে যশবন্ত সিনহা বিজেপি ছাড়েন। ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত রাজনৈতিক সন্ন্যাসে ছিলেন তিনি। যদিও মাঝে মধ্যেই ওনাকে বিজেপি বিরোধী কথা বলতে শোনা যেত। এমনকি ২০১৯ এর জানুয়ারি মাসে তৃণমূল কংগ্রেস দ্বারা আয়োজিত কলকার মহা ব্রিগেডেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
২০১৯ এর ব্রিগেডে দেশ থেকে মোদী সরকারকে উৎখাত করার সংকল্প নেওয়া যশবন্ত সিনহা গতকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেন, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারবেন দেশ থেকে মোদী-শাহের অপশাসন দূর করতে। এমনকি ২০২১ এর রাজ্যে তৃণমূলের জয়ের দাবিও করেন তিনি। যশবন্ত সিনহা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের নেতারা জানান, ওনার এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যে তৃণমূলের শক্তি অনেক বাড়বে।
গতকাল যশবন্ত সিনহার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ওনার ছেলে জয়ন্ত সিনহা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। জয়ন্ত সিনহা বলেন, এবার পশ্চিমবঙ্গে আসল পরিবর্তন হবে। তিনি বলেন, একুশের নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় আসবে আর তৃণমূলের অপশাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করবে। জয়ন্তবাবুকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, ওনার বাবার যশবন্ত সিনহা হঠাৎ তৃণমূলে কেন যোগ দিলেন? তখন জয়ন্তবাবু বলেন, কি কারণে যোগ দিয়েছেন সেটা তিনিই জানেন, তাই প্রশ্নটা ওনাকে গিয়ে করুন।
আরেকদিকে, যশবন্ত সিনহা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কটাক্ষ করা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপির এক রাজ্য নেতা বলেন, মোদী-শাহ বহিরাগত হলে যশবন্ত সিনহা কি খাঁটি বাঙালি? তিনি বলেন, যশবন্ত সিনহাকে আমরা অনেক আগেই ছুঁড়ে ফেলেছিলাম। আর সেই কারণেই তিনি দল ছেড়েছিলেন। তিনি বলেন, যশবন্ত সিনহাকে নিয়ে তৃণমূল বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, কিন্তু যশবন্ত সিনহাকে কজন বাঙালি চেনেন, সেটাই জানেনা তৃণমূল।
বলে রাখি যশবন্ত সিনহার ছেলে জয়ন্ত সিনহা বিজেপির সাংসদ। এর আগে মোদী ক্যাবিনেটে মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।