বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবার ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) অনুষ্ঠানে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন আরেক তৃণমূল (Trinamool Congress) মুখপাত্র (Spokesperson) জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumder)। দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি হঠাৎ ঢুকে পড়েন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) রায়গঞ্জের কার্তিকচন্দ্র গার্লস হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে। আর সেখানেই জন রোষের সম্মুখীন হন তিনি। অনুষ্ঠানে স্কুলের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি তিনিও বক্তব্য রাখেন আবার পুরস্কার বিতরণও করেন। তাঁর এই অবাধ প্রবেশ নিয়ে তাঁকে নানান সমালোচনা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি।
কীভাবে একজন দলীয় মুখপাত্র তাঁর নিজের দলের অনুষ্ঠান চলতে চলতে একটি স্কুলে ঢুকে পড়েন এবং সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন সেই বিষয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই স্কুলে তিনি নিজে থেকে প্রবেশ করেননি। যদিও সূত্রের খবর, বিদ্যালয়ের যিনি প্রধানা শিক্ষিকা সুমনা বাগ, তিনি তাঁকে মঞ্চে ডেকে নেন, তাঁকে বলেন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করতে। পুরস্কারের বিতরণের এই ছবি ভাইরাল হতেই অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যেমন বিজেপি, কংগ্রেস প্রভৃতি দলগুলি তাঁকে সমালোচনা করতে শুরু করেছে।
উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার এই ছবি দেখার পরেই জানান যে, এটি খুবই দুঃখের যে একটি স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূলকে তাঁদের বক্তব্য রাখতে হয়েছে। এমনিতেই রাজ্যের স্কুলগুলির অবস্থা খুব একটা ভালো না তার ওপর তৃণমূল সরকার এইসব স্কুলগুলির পরিবেশ আরও নষ্ট করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে, জয়প্রকাশ নিজের দলের প্রচার চালাতে গিয়ে কীভাবে একটি স্কুলে ঢুকে পড়েন? এটি কখনোই ঠিক নয়।
অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের মতো জয়প্রকাশ মজুমদারের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত তাঁকে সমালোচনা করে বলেন যে, রাজ্যে কোনো স্কুলের কোনো উন্নতি নেই। কিন্তু শাসক দলের প্রতিনিধি ভোট চাইতে ঠিক উপস্থিত হলেন একটি স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। কী করে করতে পারেন তিনি এমনটা? তবে এতো কিছুর পরেও কোনো কিছু নিয়েই কোনো কথা বলেননি জয়প্রকাশ মজুমদার।