বাংলা হান্ট ডেস্ক :নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন জনতা দল পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত কিশোর। এর আগেই তাঁকে শোকশ করেছিল নীতিশের দল। কারণ বিহারে বিজেপির শরীক হল জেডিইউ। তাই দল বিরোধী মন্ত্বয করাটা মোটেই ভালো লাগেনি জনতা দল পার্টির।সোমবার লোকসভা ও বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্বং সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পরে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মুখ খুলেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তারপরেই নীতিশের দল তাঁকে শোকজ করে। এবার খোদ নীতিশই তাঁকে তলব করেছেন। যা নিয়ে দল থেকে বহিষ্কারের জল্পনা উঠেছে তুঙ্গে।
আসলে বিজেপির সঙ্গে জেডিইউৃ-এর হাত মেলানো কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারেনি পিকের দল। এর পর থেকে পিকেরসঙ্গে জেডিইউ-এর দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে। তাই অনেকেই নীতিশের তলব নিয়ে প্রশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ নিয়ে জল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। আসলে বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকতা সংশোধনী বিল পাস হওয়ার আগে সোমবার লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছিল আর তাই মঙ্গলবার থেকে টুইটারে প্রশান্ত কিশোর বার বার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে কথা বলেন
তাঁকে বলতে শোনা যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হলে এনআরসি প্রয়োগ করে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বঞ্চনা করা হতে পারে।তাই তো জনতা দল ইউনাইটেডের তরফ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য তোলার কোনও অধিকার নেই বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। আসলে বিজেপি সরকারের এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে জনতা দল ইউনাইটেডের তরফ থেকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে এবং বিলটিকে সমর্থন করেছে তাই কার্যত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে জনতা দল ইউনাইটেড।
ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ নিয়ে সমস্ত অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের একহওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিপক্ষেই সুর তুলেছেন। তাই এবার খানিকটা হলেও তাঁর পথে হাঁটলেন প্রশান্ত কিষোর।
তাই শুক্রবার ট্যুইট করে ‘সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এখন বিচারবিভাগ ছাড়া ভারতের আত্মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব ১৬ জন অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর উপর। কারণ সেই রাজ্যগুলিকেও নিজেদের জায়গায় এই আইন কার্যকরী করতে হবে। CAB ও NRC-কে না করে দিয়েছেন তিন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার সময় এসেছে অন্যান্যদেরও।’