বাংলা হান্ট ডেস্ক : টলিউডের ‘বস’ জিৎ (Jeet-Koel) ঘনিষ্ঠদের তালিকায় বরাবরই প্রথমেই নাম আসে অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের (Jeet-Koel) । দেখতে দেখতে এক বছর পূর্ণ হয়ে গেল জিতের (Jeet-Koel) ছেলে রোনভের। বুধবার একরত্তি রোনভের জন্মদিনে বসেছিল চাঁদের হাট। উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত,শুভশ্রী গাঙ্গুলি,কোয়েল মল্লিক,সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রীরা।
জিতের ছেলের জন্মদিনে হাজির কোয়েল (Jeet-Koel)
ইতিমধ্যেই একরত্তির জন্মদিনের বেশ কিছু ঝলক ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। টলি অনলাইনের তরফে শেয়ার করা এমনই একটি ভিডিওতে দেখা গেল রোনভের জন্মদিনে আনা হয়েছে একটি সুন্দর টু-টায়ার কেক। রোনভের পরনে রয়েছে লাল রঙের পাঞ্জাবি। ছেলের সাথে রঙ মিলিয়ে জিৎ-ও এদিন পরেছিলেন লাল রঙের পাঞ্জাবি।
ছোট্ট রোনভকে এদিন বাবার কোলে চেপেই কেক কাটতে দেখা গেল। এদিন জিতের পাশেই ছিলেন তার স্ত্রী মোহনা। এদিন তাঁর পরানে ছিল সোনালী রঙের শাড়ি। মায়ের সাথে রং মিলিয়ে মেয়ে নভন্যাও পরেছিলেন সোনালী রঙের পোশাক। ভাইয়ের প্রথম জন্মদিন নিয়ে নভন্যাও ছিলেন দারুন উচ্ছসিত। পাশাপাশি ভাইরাল হয়েছে আরও একটি ছবি।
সেখানে দেখা যাচ্ছে জিতের স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন কোয়েল মল্লিক। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে জিতের সাথে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন কোয়েল। একসময় তাঁদের অনস্ক্রিন রসায়ন ঝড় তুলেছিল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে আজ পর্যন্ত বিতর্ক শব্দটা ছুঁতে পারেনি রঞ্জিত কন্যাকে।
আরও পড়ুন : ‘যাকে পারছে জড়িয়ে ধরছে’! অতীতের কোন ঘটনা অস্বস্তির মুখে ফেলেছিল মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে?
তাঁর মিষ্টি স্বভাব, আর মিষ্টি কথা মন ছুঁয়েছে অনুরাগীদের। সম্প্রতি দুর্গাপূজার মুখেই দ্বিতীয় সন্তান আগমনের কথা জানিয়েছিলেন টলিকুইন। কবীরের পাঁচ বছর হওয়ার আগে বাড়িতে নতুন সদস্য আনার কথা জানিয়েছিলেন কোয়েল এবং তার স্বামী নিসপাল সিং রানে। কোয়েলের প্রথম সিনেমা ‘নাটের গুরু’তে তাঁর নায়ক ছিলেন জিৎ।
তারপর ‘বন্ধন’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘ ঘাতক’, ‘সাত পাকে বাঁধা’, ‘১০০% লাভ’-এর মতো একাধিক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই জুটি। এদিন জিতের ছেলের জন্মদিনে কোয়েল হাজির হতেই অনুরাগীরা ফিরে পেয়েছেন তাঁদের প্রিয় জুটির পুরনো নস্টালজিয়া। একটা সময় শোনা গিয়েছিল কোয়েলের জন্য নাকি সম্পর্ক ভেঙেছিল জিৎ- স্বস্তিকার। কিন্তু আসলে তা নয় তাঁদের দুজনের কেমিস্ট্রি আর বন্ধুত্ব ছিল এই গুজব ছড়ানোর নেপথ্য কারণ।