বাংলাহান্ট ডেস্ক: কষ্ট করলে কেষ্ট মেশে। একথাটা অভিনেতা জিতু কামালের (Jeetu Kamal) সঙ্গে অনেকেই মিলে যায়। আজ তাঁর খ্যাতি বাংলা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরিচালক অনীক দত্তের ছবি ‘অপরাজিত’তে অভিনয় করে নিজেকে সর্বসমক্ষে প্রমাণ করেছেন জিতু। কঠোর শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করে সত্যজিৎ রায়ের ছায়া ‘অপরাজিত রায়’ হয়ে উঠেছেন তিনি।
কিন্তু এই সাফল্য সহজে হাতে আসেনি জিতুর। ছোটপর্দায় দিনের পর দিন নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই করেছেন তিনি। বহুবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জিতুকে নিজের মুখেই বলতে শোনা যায়, জীবনে প্রচুর অপমান সয়েছেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে সহজে জায়গা দেয়নি।
প্রযোজক সকাল আটটায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সকাল সাতটায় পৌঁছে যান জিতু। দুপুর একটা পর্যন্ত ঠায় অফিসের বাইরে বসে থেকেছেন। কিন্তু ভেতরে ডেকে পাঠানো হয়নি। এভাবেই চলেছে দিনের পর দিন। এক পরিচালকের কাছে নিজের ছবি নিয়ে গিয়েছিলেন জিতু। তাঁকে শুনতে হয়েছিল, যেহেতু তিনি নতুন। কাজের অভিজ্ঞতা নেই তাই তাঁকে দিয়ে হবে না।
এখন তিনি অনেকটাই সফল। ছোটপর্দার পরিচিত মুখ। ‘অপরাজিত’র চরিত্রটি পেয়ে কার্যত নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন জিতু। প্রশংসা কুড়িয়েছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগালের। অনুমোদন পেয়েছেন সন্দীপ রায়েরও। অপরাজিত নিয়েই আজ সর্বত্র আলোচনা।
ছবির মুক্তির পর তেমন শো পায়নি। এমনকি সত্যজিৎকে নিয়ে তৈরি ছবি নন্দনেও জায়গা পায়নি। সেখান থেকে আজ ৬০ টি শো অপরাজিতর। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, হায়দরাবাদ, উত্তরপ্রদেশ, আসাম, দিল্লি, গুজরাটের মতো রাজ্যে দেখানো হচ্ছে ছবিটি। এতদিনে বোধকরি প্রতিভার যোগ্য সম্মান পেলেন জিতু।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা