বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা বিনোদুনিয়ায় চর্চার কেন্দ্রে এখন একটাই নাম, জিতু কামাল (Jeetu Kamal)। অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ দেখার পর থেকেই নিমেষে খ্যাতি বেড়ে গিয়েছে তাঁর। জিতু অভিনয়ে আছেন অনেকদিন ধরেই। কিন্তু অপরাজিত তাঁকে প্রয়োজনীয় ‘ব্রেক’ এনে দিয়েছে।
অভিনেতা জিতুকে তো অনেকেই দেখেছেন। ব্যক্তি জিতুকে চেনার জন্যও এখন আগ্রহ সবার। অনেকেই জানেন, তিনি যথেষ্ট রাজনীতি সচেতন একজন ব্যক্তি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharya) নিয়ে আবেগঘন পোস্টও শেয়ার করেছিলেন তিনি। ‘কেরিয়ারের আশঙ্কা’ থাকা সত্ত্বেও রাখঢাক না করে বুদ্ধদেব বন্দনা করেছিলেন জিতু।
সম্প্রতি আবারো একই কাজ করলেন তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জিতু জানালেন, তাঁর ‘গুরুদেব’ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ব্রিগেড চলাকালীন বাস থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতেন অভিনেতা। ওই মানুষটার ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে যেতেন জিতু।
অভিনেতা জানান, বুদ্ধদেবের রাজনৈতিক সত্ত্বা বাদ দিলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবনযাপন আকৃষ্ট করে তাঁকে। শিক্ষা, সংষ্কৃতি, রুচি সবেতেই জিতুর প্রকৃত আদর্শ তিনি। এখনো তাঁর মনে পড়ে বুদ্ধদেবের বক্তৃতা দিতে মঞ্চে ওঠার কথা। সেসব দিন মনে পড়লে আপনা থেকেই চোখে জল আসে অভিনেতার অসুস্থতার কারণে মঞ্চে আর উঠতে পারেন না বুদ্ধদেব। কিন্তু ইউটিউবে এখনো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আবৃত্তি শোনেন জিতু।
‘অপরাজিত’র পরিচালক অনীক দত্ত বাম সমর্থক। জিতু নিজেও কলেজে পড়াকালীন বাম ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছোটপর্দায় অভিনয় করার সময়ে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রতি ভাললাগা ব্যক্ত করেছেন। বলেছিলেন, ‘সততার, সত্যের, নিষ্ঠার আরেক নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য’।
গতকাল শনিবার সদলবলে অপরাজিত দেখতে প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলেন বাম নেতারা। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তীর মতো প্রবীণ নেতারা ছাড়াও ছিলেন অনেক বাম সমর্থক। প্রায় দেড়শো জনের টিকিট কাটা হয়েছিল প্রিয়া সিনেমা হলে। জিতুর ‘গুরুদেব’ও যদি আসতেন? অভিনেতা জানালেন, তাহলে তাঁর জীবন সার্থক হত।