পঞ্চায়েত ভোটের বিরাট ধাক্কা তৃণমূলে! হাতছাড়া হল ঝালদা পৌরসভা, নির্দলদের সমর্থনে ক্ষমতা দখল কংগ্রেসের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক সময় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের (Tapan Kandu Murder Case) ঘটনায় তোলপাড় হয় পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা এলাকা। এমনকি পৌরসভা কার দখলে থাকবে তা নিয়েও তৈরি হয় বিতর্ক। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় নির্দলের ভূমিকা। তবে বোর্ড থাকে তৃণমূলের হাতেই। কিন্তু শেষপর্যন্ত ২ নির্দল কাউন্সিলর কংগ্রেসকে সমর্থন করায় ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখন কংগ্রেসের হাতে রইল ৭ জন কাউন্সিলর। অন্যদিকে, তৃণমূলের (TMC) হাতে রইল ৫ কাউন্সিলর। আজ বিশেষ সভা ছিল। কিন্তু দেখা যায়, তাতে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররাই।

আজ সোমবার ওই তলবি সভা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা ছিল ঝালদা পৌরসভায়। পরিস্থিতি জটিল হতেই মোতায়েন করা হয় বিরাট সংখ্যক পুলিস বাহিনী। রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় থাকার পরেও আজ ভোটাভুটিতে অংশ নিল না তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক শিবিরের এই ওয়াকওভারের ফলে কংগ্রেসের দিকেই চলে গেল ভোটাভুটির রায়। এতদিন ২ নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন তৃণমূলের দিকে। আজ তারাই কংগ্রেসকে সমর্থন করে ফেললেন। ফলে গত ৭ বছর ধরে ঝালদা পৌরসভার পুর বোর্ড তৃণমূলের দখলে থাকার পর তা আজ কংগ্রসের দখলে চলে গেল।

গত পুরভোটের পরই খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্যে। তপন খুনে শাসকদলকেই অভিযুক্ত করে কংগ্রেস। সেই ঘটনার তদন্তভার পরবর্তীকালে সিবিআইয়ের হাতে যায়। তপন খুনের পর সেই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু। এ বার গোটা পুরসভাই তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধী কাউন্সিলররা৷ সেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে৷ সেই মামলার শুনানির পর আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট৷


Sudipto

সম্পর্কিত খবর