বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঝাড়গ্রামের (Jhargram) প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। সেই অর্থে দেখার মতো কিছুই নেই এখানে। তবুও এই গ্রামে এখন শুধুই পর্যটকদের ভিড়। অনেক পর্যটক লাল মাটির দেশ ঝাড়গ্রামে ছুটে যান শান জঙ্গলের বিশুদ্ধ প্রকৃতিকে উপভোগ করতে। তবে সময় পেলে আজকাল পর্যটকেরা পাড়ি জমাচ্ছেন ঝাড়গ্রামের এই অখ্যাত গ্রামটিতে।
ঝাড়গ্রামে (Jhargram) পরিযায়ী পাখিদের ভিড়
সুদূর সাইবেরিয়া থেকে পরিযায়ী পাখিরা এই গ্রামে উড়ে আসে। এই গ্রামে ডিম পাড়ে তারা। বাচ্চারা যখন উড়তে শেখে তখন তাদের নিয়ে চলে যায় সাইবেরিয়া। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার জামবনি ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামে রয়েছে কিছু তেঁতুল গাছ। সেই নির্দিষ্ট কিছু তেঁতুল গাছে বাসা বাঁধে সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসা পাখিরা।
আরোও পড়ুন : বাংলা ছেড়ে মুম্বাই কাঁপাচ্ছেন ঋষি কৌশিক, আসছে আরও এক হিন্দি সিরিয়াল
পরিযায়ী পাখিদের কলরবে সারাদিন মুখরিত থাকে কেন্দুয়া গ্রাম। ঝাড়গ্রাম থেকে চিল্কিগড়ের কণক দুর্গা মন্দির যাওয়ার পথে পড়ে কেন্দুয়া (Kendua)। এই গ্রামে গেলেই দেখা মিলবে অসংখ্য পরিযায়ী পাখির। প্রশাসনের তরফে সাইনবোর্ডও লাগানো রয়েছে এখানে। পর্যটকদের পরিযায়ী পাখি সম্পর্কে অবগত করতেই এই সাইনবোর্ড।
প্রতিবছর মে মাস নাগাদ সাইবেরিয়া থেকে পরিযায়ী পাখিরা (Migratory Birds) এসে পৌঁছায় এই গ্রামে। তেঁতুল গাছের মধ্যেই বাসা বাঁধে সেই পাখিরা। সেখানে ডিম পাড়ে, ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। তারপর সেই বাচ্চারা উড়তে শিখলেই নভেম্বর মাস নাগাদ নিজেদের ঠিকানায় ফিরে যায় পরিযায়ী পাখিরা। প্রাক্তন বন কর্মী বিধান মাহাতো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ”বহুদিন ধরেই কেন্দুয়া গ্রামের এই তেঁতুল গাছে পরিযায়ী পাখিরা আসছে। আমরা এই পরিযায়ী পাখিগুলিকে কেন্দুয়ার বক বলেও ডাকি। এদের দেখলেই আমরা বুঝে যাই বর্ষা চলে এসছে, এবার শুরু হবে চাষের কাজ। পাখিগুলো এখানকার তেঁতুল গাছেই বাসা বাঁধে। অন্য কোন-ও গাছে নয়। ডিম পাড়ে, বাচ্চা হয়। বাচ্চা উড়তে শিখলে পাখিরা আবার ফিরে যায়। একসময় রাতের অন্ধকারে পরিযায়ী পাখি চুরি হচ্ছিল । বনদফতরের পক্ষ থেকে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল”।