বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঝাড়খণ্ডের (jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেেন (Hemant Soren) লক ডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করেছেন। লকডাউন করার আগে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে সতর্কও করেনি আর আলোচনাও করেনি। আর এতে সাধারণ মানুষের সমস্যা তো হচ্ছেই বেশী ভুগতে হচ্ছে দরিদ্র আর শ্রমিকদের। গত মাস থেকে এমাসে লক ডাউন বাড়ানো হয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক আর নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের ১৭ই মার্চ পর্যন্ত লক ডাউন ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তাও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সায়ত্রিশ হাজার। আর সময় যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে লক ডাউন। সব কটি রাজ্য বাড়ানো হয়েছে লক ডাউন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ,রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সাথে সাক্ষাতের পরে এই বড় সিদ্ধান্ত জানান । সারা পৃথিবীতে এখন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে।
শ্রমিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো উচিৎ
বাড়িতে আসার আগে তিন স্তরে শ্রমিকদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। শ্রমিকরা যেখান থেকে আসছে, সেখান থেকেও তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের করোনার পরীক্ষাও করা হচ্ছে। তারপরেই তাদের বাড়িতে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
আর্থিক অবস্থা ভেঙে গেছে, শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া উচিৎ
তিনি জানান এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের উচিত শ্রমিকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া। যাতে তারা অন্তত খেয়ে পরে বাঁচে। এমনকি রাজ্যের দরিদ্র আদিবাসী, পিছিয়ে ও সংখ্যালঘু সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া দরকার।
হেমন্ত সোরেন সাক্ষাৎকরে ক্ষোভ উগরে দেন
এদিন হেমন্ত সোরেন বলেন, “মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে উন্নত অর্থনৈতিক প্যাকেজ প্রদানের মাধ্যমে এগুলি পরিচালনার চেষ্টা করা উচিত কারণ এটি ছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে না এবং কর্মসংস্থানও তৈরি হতে পারে না।করোনা করোনা হেটে আসেনি, বিমানে উড়ে এসেছে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন অবধি দেশের বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। কেন্দ্রের উচিত রাজ্যের স্বার্থ মাথায় রাখা।” তিনি আরো বলেন কেন্দ্র সরকার যদি পরিস্থিতিটি যথাযথভাবে মূল্যায়ন করত তবে এটির বিস্তার রোধ করতে আরও ভাল পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারা যেতো।