বাংলাহান্ট ডেস্ক : নাম বিভ্রাটের জেরে কত কাণ্ডই যে ঘটে বিশ্ব দুনিয়ায়। রাতারাতি ‘পাশ’ করা ছাত্রীর গায়ে বসে যায় ফেলের তকমা। আর এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল ঝাড়খণ্ড। নিশ্চয়ই ভাবছেন, আসল ঘটনাটা ঠিক কী ?
ইউপিসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ‘উত্তীর্ণ’ হওয়ায় সংবর্ধনা পেয়েছিলেন। নিজের ‘সাফল্যের’ কাহিনি তুলে ধরছিলেন ঝাড়খণ্ডের দিব্যা পান্ডে। কিন্তু পরে সামনে আসে সত্যিটা। পরিবারের তরফে জানানো হয়, ভুলবশত তাঁরা ভেবেছিলেন যে দিব্যা ইউপিসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আসলে নামের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল সমস্যা। একজন দিব্যা পাণ্ডে নন, দক্ষিণ ভারতের আরেকজন দিব্যা ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরীক্ষার ফলাফলের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে ‘দিব্যা পি ‘ নাম লেখা ছিল। ইউপিএসসি পরীক্ষার ফলাফল বলে কথা, সেই খবর একেবারেই চাপা থাকেনি। ঝড়ের গতিতে ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষের মুখে দিব্যা পাণ্ডের নাম ছড়িয়ে পড়ে। রামগড়ের দিব্যা পাণ্ডেকে সংবর্ধনা দেন রামগড়ের ডেপুটি কমিশনার মাধবী মিশ্র।
পাশাপাশি দিব্যার বাবার কর্মক্ষেত্রের কিছু আধিকারিকরা তাকে সংবর্ধনা দেন । এই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেখানেও ফলাও করে লেখা হয়েছিল, দিব্যা পাণ্ডে প্রথমবারেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি তার জন্য কোন কোচিং নেননি , শুধুমাত্র ভরসা ছিল ইন্টারনেট আর স্মার্টফোনে। কিন্তু সেই ভুল ভাঙে কিছুদিন পরে। জানা যায়, যে দিব্যা পাণ্ডে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি আসলে দক্ষিণ ভারতের মেয়ে। স্বাভাবিকভাবেই তখন ঝাড়খণ্ডের দিব্যার পরিবারের প্রত্যেকেই অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়।