বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এলাকায় বসবাস করেন ৭৫ শতাংশ মুসলিম মানুষ আর সেই কারণে বিদ্যালয়ে প্রার্থনাও করতে হবে মুসলিম মতে! সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়া জেলার অন্তর্গত কোরওয়াডিহের একটি সরকারি স্কুল থেকে এহেন গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে। বর্তমানে দেশের বুকে ধর্মের নামে যেভাবে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে, তাতে নতুন এক মাত্রা যোগ দিলো এই ঘটনাটি।
জানা গিয়েছে, এলাকায় মুসলমানরা সংখ্যায় অধিক হওয়ার কারণে তারা নিজেরাই নিয়ম সৃষ্টি করার চেষ্টায় রয়েছে। এই অভিযোগ সামনে উঠে আসায় বর্তমানে প্রশাসনের তরফ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আসলে ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়া জেলার এই স্কুলে পড়ুয়াদের প্রার্থনা করার নিয়ম পরিবর্তন করার অভিযোগ সামনে আসে। এক্ষেত্রে মুসলিম সমাজের মানুষের দাবি ছিল যে, স্থানীয় এলাকায় তাদের ৭৫ শতাংশ মানুষ রয়েছে, তাই তারাই সকল নিয়ম ঠিক করবে। এমনকি এও শোনা যায় যে, তাদের চাপে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে প্রার্থনায় পরিবর্তন আনতে হয়। স্কুলে প্রবেশের পর প্রার্থনার সময়কালীন ‘তুহি রাম হে, তু রহিম হে’ দিয়ে তবেই পঠন-পাঠন শুরু হতো। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের হাত জোড় করতেও মানা করা হয়।
সম্প্রতি, এই অভিযোগটি উঠে আসার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফ থেকে একটি আধিকারিকের টিম পাঠানো হয় এবং তারা গিয়ে সমস্ত ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে। উল্লেখ্য, সেখানে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। সেই সময়কালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ে বেশিরভাগ পড়ুয়া মুসলিম। ফলে প্রার্থনার নিয়ম পরিবর্তন থেকে শুরু করে ওরা হাতজোড় পর্যন্ত করে না। আমি এক্ষেত্রে অনেকবার বলেছি, তবে কেউ কথা শোনেনি।”
এরপরই প্রশাসনের তরফ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সকল পড়ুয়াদের প্রার্থনা করার সঠিক নিয়ম বোঝানোর পাশাপাশি হাত জোড় করে প্রার্থনা করার নির্দেশ দেয় আধিকারিকের টিম। বর্তমানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পর থেকে অবশ্য বিদ্যালয়ের অন্দরে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলেই খবর।