বাংলা হান্ট ডেস্ক : তাঁর ভাগ্যটাই খারাপ। আজ বৃহস্পতিবার জামাইষষ্টীতে সবার বাড়িতেই উৎসবের আমেজ। এলাহি সব খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। প্রতিবছর এইদিনটায় উৎসবের আমেজেই থাকতেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। কিন্তু এবারের চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। তাই ষষ্ঠীর প্রসাদ নিয়ে জেলে হাজির হলেন জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী।
রঘুনাথগঞ্জের জোতকমল পিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা টগরীর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় জীবনকৃষ্ণ সাহার। সন্তানও রয়েছে তাঁদের। বিধায়কের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একাধিক ছবি আছে দুজনের। তা থেকেই বোঝা যায় বোঝা যায় দাম্পত্য সম্পর্ক বেশ ভালই ছিল জীবন ও টগরীর।
স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছর জামাইষষ্ঠী আর সকলের মতোই আনন্দ-উদযাপনের মধ্যে দিয়েই কাটত তাঁদের। কিন্তু এবছরটা একেবারে আলাদা। প্রতিবারের মতো জামাইষষ্ঠী এসেছে ঠিকই। কিন্তু, জীবনকৃষ্ণের পক্ষে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়। তাঁর ঠিকানা যে এখন সংশোধনাগার।
আর তাই বৃহস্পতিবার সকালেই জামাইষষ্ঠীর প্রসাদ নিয়ে জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে জেলেই এলেন স্ত্রী টগরী। ছিল লুচি, মিষ্টি। কিন্তু জেলে বাইরের খাবার দেওয়া নিষেধ। কোনও ক্ষেত্রে একান্তই দিতে হলে তার জন্য নিয়মকানুন প্রচুর।
সেই কারণেই এদিন প্রসাদ না দিয়েই ফিরতে হয় টগরীদেবীকে। এদিকে এদিনই আদালতে পেশ করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। তাঁকে ১ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, জীবন কৃষ্ণ সাহা পেশায় একজন শিক্ষক। বাবা বিশ্বনাথ সাহা, স্ত্রী টগর সাহা। প্রথমে ২০০৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা দিয়ে শুরু হয় তাঁর পথচলা। যদিও ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। বাবার বিশ্বনাথ সাহার বীরভূম জেলার সাঁইথিয়াতে তেল মিল ও আলুর কোল ষ্টোরেজ আছে।