পাকিস্তানকে কোনঠাসা করতে চীনের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে চীন যেন ভারতের উপর চাপ প্রয়োগ না করতে পারে তার দিকেও লক্ষ রাখা প্রয়োজন। POK পুনরুদ্ধার ও পরবর্তীকালে অখন্ড ভারত নির্মাণের দিকে অগ্রসর হতে হলে চীনকে নিউট্রাল রাখা আবশ্যক। আর বর্তমান সরকার সেই দিকেই এগিয়ে চলেছে। ভারত পাকিস্তান সরকারকে এক ঘরে করে বাকি বিশ্বের সাথে লাগাতার সম্পর্ক মজবুত করছে। একইসাথে তুর্কী ও মালয়েশিয়ার মতো পাকিস্তান সমর্থনকারী দেশকেও পাল্টা ঝটকা দিতে শুরু করেছে।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ভারত সফরে রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং আজ কেরালার কোভালামে বৈঠক করেছেন। উনি ভারতের থেকে পাওয়া সন্মানের প্রশংসা করেছেন। যা কূটনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং প্রায় ৫০ মিনিট আলোচণা করেন। নরেন্দ্র মোদী ও জিনপিং এর বৈঠক এর পর প্রতিনিধি মন্ডলের বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দুই দেশের মতভেদকে ঝগড়াই পরিণত হতে দেব না। ভারত ও চীন ২০০০ বছর ধরে আর্থিকভাবে সম্পর্ক দৃঢ় রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আমরা দুই দেশ একে অপরের নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবো। জানিয়ে দি, ইমরান খানের সরকার শি জিনপিং কেনভারত সফর আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি। ভারত এক্ষেত্রে কূটনৈতিক সাফল্য পায় এবং জিনপিং ভারত সফরে আসেন।চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বলেছেন যে ভারতে তিনি যে সম্মান পেয়েছেন তাতে তিনি অভিভূত। মহাবলিপুরমে দু’দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি জিনপিং বলেছিলেন যে তিনি ভারতের আতিথেয়তায় অভিভূত।
তিনি এবং চীন থেকে তাঁর সহযোগীরা এটি অনুভব করেছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন যে এটি তাঁর এবং তাঁর সহকর্মীদের জন্য একটি স্মরণীয় সফর হবে। চীনা রাষ্ট্রপতি বলেছেন যে গতকাল প্রধানমন্ত্রী মোদী যেমন বলেছিলেন, শুক্রবার দু’দেশের নেতা দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করেছেন। শি জিনপিং বলেছিলেন, অনানুষ্ঠানিক কথোপকথন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন উষ্ণতা যুক্ত করেছে। দুই নেতার বৈঠক ও সম্পর্কের উপর পুরো বিশ্ব নজর রেখেছে। কারণ আগামী সময়ে এই দুই দেশকে কেন্দ্র করে বিশ্বের অর্থনীতি ও বিশ্বসম্পর্ক ঘোরাফেরা করবে। তাই ভারত-চীন সম্পৰ্ক মজবুত হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন, আর সম্ভবত সেই দিকেই অগ্রসর হচ্ছে ভারত চীন সরকার।