বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই গত ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) দেশে 5G পরিষেবার উদ্বোধন করেন। এমতাবস্থায়, বর্তমানে শুধুমাত্র Jio এবং Airtel-এই দু’টি টেলিকম সংস্থা কয়েকটি নির্বাচিত শহরে 5G পরিষেবা শুরু করার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এদিকে, Jio-র 5G পরিষেবা শুধুমাত্র মুম্বাই, দিল্লি, বারাণসী এবং কলকাতায় উপলব্ধ হলেও অন্যদিকে Airtel True 5G, আটটি শহরে উপলব্ধ হবে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, শিলিগুড়ি, নাগপুর এবং বারাণসী।
এইসব শহরে পাওয়া যাবে সুবিধা: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (Department of Telecommunications, DoT) আগেই ঘোষণা করেছিল যে, প্রথম ধাপে দেশের মোট ১৩ টি শহরে 5G পরিষেবা শুরু করা হবে। এমতাবস্থায়, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই, বাকি শহরগুলির ক্ষেত্রে Airtel এবং Jio-র 5G পরিষেবা শুরু হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
শীঘ্রই এই শহরগুলিতে Jio-র 5G পরিষেবা মিলবে: যে যে শহরগুলিতে দ্রুত Jio-র 5G পরিষেবা শুরু হতে চলেছে সেগুলি হল-
* আহমেদাবাদ
* ব্যাঙ্গালোর
* চণ্ডীগড়
* গান্ধীনগর
* গুরুগ্রাম
* হায়দ্রাবাদ
* জামনগর
* চেন্নাই
* লখনউ
* পুণে
এই শহরগুলিতে শীঘ্রই শুরু হবে Airtel 5G Plus পরিষেবা:
* আহমেদাবাদ
* গান্ধীনগর
* গুরুগ্রাম
* পুণে
* কলকাতা
* জামনগর
* চণ্ডীগড়
প্রয়োজন হবে 5G স্মার্টফোনের: 5G বা পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক হাই স্পিড ইন্টারনেটের সুবিধা দেবে। শুধু তাই নয়, 4G-র 100 Mbps পিকের তুলনায় 5G-তে ইন্টারনেটের গতি 10 Gbps পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, 5G পরিষেবার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা দ্রুত ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিডের সুবিধা পাবেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে 5G পরিষেবা পাওয়ার জন্য কোনো 5G সিমের প্রয়োজন নেই। যদিও, 5G সাপোর্ট করে এমন একটি স্মার্টফোন থাকতে হবে৷ এমতাবস্থায়, বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ইতিমধ্যেই 5G সাপোর্টের জন্য আপডেট পেতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে স্যামসাং জানিয়েছে যে, তাদের 5G ডিভাইসগুলিতে নভেম্বরের শেষে 5G সাপোর্ট করবে। অন্যদিকে, Apple ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে 5G সফ্টওয়্যার আপডেট রোল আউট করার পরিকল্পনা করেছে বলেও জানা গিয়েছে।