‘‘আয় জিতেন, বোস এখানে!’’ বিজেপি নেতাকে কাছে টেনে নিলেন তৃণমূলী, বিরল নজির আসানসোলে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আকাশে-বাতাসে গরম বাড়ার সাথে সাথেই বাংলার রাজনীতিতে চরছে উত্তাপ। লোকসভা নির্বাচনের আবহে যখন বাংলার রাজনীতির ময়দানে বাম-ডান সব পক্ষই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন বিরল সৌজন্যের সাক্ষী থাকল আসানসোল। তৃণমূলের নেতা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের সাথে নির্বাচনী প্রচারে বেড়িয়ে দেখা হয়ে যায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির।

আচমকা এই সাক্ষাতে দুজনেই ডুব দিলেন অতীত দিনের স্মৃতিতে। একটা সময় দুজনেই ছিলেন সতীর্থ। উজ্জ্বলের হাত ধরেই কার্যত রাজনীতিতে প্রবেশ জিতেন্দ্রর। একটা সময় দুজনেই তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছিলেন। তবে সময়ের ঘষা লেগে দুই নেতার পথ ভাগ হয়ে যায়। পথ আলাদা হলেও, দুজনের সম্পর্কে যে ভাঙন ধরেনি তার প্রমাণ পাওয়া গেল শনিবার।

আরোও পড়ুন : ১ এপ্রিল থেকেই বড় পরিবর্তন! লাফিয়ে বাড়বে ৮০০ ওষুধের দাম, ফের টান পড়বে পকেটে

আজ তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় কাউন্সিলর উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের সাথে দেখা হয় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির। উজ্জ্বল জিতেন্দ্রকে দেখেই দুহাত বাড়িয়ে বলে ওঠেন, ‘‘আয় জিতেন, বোস এখানে!’’ এরপর একদা সতীর্থ জিতেন্দ্রর সাথে আড্ডায় মেতে ওঠেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। দুজনের মধ্যে চলল সৌজন্য বিনিময়। কিছুটা সময় গল্প করে জিতেন্দ্র চলে যান প্রচারে।

1643330803 bard2

যাওয়ার আগে জিতেন্দ্র বলেন,  ‘‘আমরা আসানসোলের মানুষ। উজ্জ্বলদা আমার নেতা ছিলেন। ওঁর কাছে রাজনীতি করা শিখেছি। আজ দেখা হয়ে গেল। দাদার পরিবারের খবর জিজ্ঞেস করলাম। বৌদির খবর নিলাম।’’ তারপর উজ্জ্বলকে বলতে শোনা যায়,  ‘‘পরিচিতিটা তো আজকের নয়, অনেক দিনের। উনি এসেছিলেন, দেখা হল। ভাল লাগল। আমার শরীরের কথা জিজ্ঞেস করলেন। রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা হয়নি।’’

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর