তৃণমূল কংগ্রেসের (tmc) বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দল ছেড়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (jitendra tiwari)। কিন্তু কয়েকঘন্টার মধ্যেই বোধোদয়, ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদলে তৃণমূলেই থাকার কথা জানিয়ে দেন আসানসোলের পুর প্রশাসক ও পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক। কিন্তু আসানসোলের পুর প্রশাসক পদ তিনি আর ফিরে পেলেন না। তার বদলে নতুন পুর প্রশাসক হলেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারী যখন একের পর এক অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন তখন তার প্রশংসা করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পাশাপাশি রাজ্যের পুরো ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তার অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক কারণে স্মার্টসিটি প্রকল্পের ২,০০০ কোটি টাকা আসানসোলকে নিতে দেয়নি রাজ্য সরকার। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ১,৫০০ কোটি টাকাও রাজ্যের রাজনীতির কারণেই পায়নি আসানসোলবাসী।
এরপরে তৃণমূলের তরফে জিতেন্দ্রকে কলকাতায় ডেকে পাঠালেও তিনি আসেন নি। ১৮ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তিনি তার আগেই সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। এরপরেই রাজ্যজুড়ে গুঞ্জন ওঠে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার। শোনা যাচ্ছিল, অমিত শাহের সভাতেই শুভেন্দু অধিকারীর সাথে তিনিও বিজেপিতে যোগদান করবেন। কিন্তু বেঁকে বসেন বাবুল সুপ্রিয়। তাতে যোগ দেন বিজেপির একাধিক প্রথম সারির নেতারাও।
এরপরেই বিজেপিতে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না জেনে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করেন। কলকাতায় অরূপ বিশ্বাসের সাথে বৈঠক শেষে তিনি জানিয়ে দেন সব ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।
তবে তৃণমূলে ফিরলেও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি ও আসানসোলের প্রশাসক পদ ফেরানো হবে না জিতেন্দ্রকে। তা অবশ্য আগেই জানানো হয়েছিল। আগামী সোমবার থেকে জিতেন্দ্রর বদলে পুর প্রশাসকের পদ সামলাবেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমরনাথ। তার নাম মনোনীত হতেই খুশি নেতা, কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ৷ তারা বলছেন দেরিতে হলেও প্রশাসক পদে বসছেন যোগ্য ব্যক্তি। যার অর্থ দাঁড়ায় জিতেন্দ্রের যোগ্যতা নিয়ে ঘরে বাইরে প্রশ্ন ছিল