মোদীজীর জনপ্রিয়তা আর রামদেব বাবার সুপারিশেই মন্ত্রী হয়েছিল, বাবুলকে জোর কটাক্ষ জিতেন্দ্রর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রথম দিকে ‘আদায় কাঁচকলায়’ সম্পর্ক থাকলেও, শেষের দিকে বেশ কিছুদিন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। প্রথমটায় তৃণমূলত্যাগী জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গেরুয়া শিবিরে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা দ্বিমত দেখালেও, পরের দিকে রাজী হয়ে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

এরপর দুজনের সম্পর্কের সমীকরণ খুব একটা না বদলালেও, সুর কিছুটা নরম করেছিল দুপক্ষই। তবে বর্তমান সময়ে বিজেপির সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। গেরুয়া শিবিরকে বড় ধাক্কা দিয়ে গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর যোগ দেন তৃণমূলে। শুধু তাই নয়, ১৯ শে অক্টোবর দিল্লী গিয়ে ইস্তফাও দেন বিজেপির সাংসদ পদ থেকে।

একসময় যে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই কামান দাগতেন বাবুল সুপ্রিয়, এখন সেই সবুজ শিবিরই তাঁর পরম আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। তবে বিজেপির সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে স্যোশাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

https://www.facebook.com/BabulSupriyoOfficial/posts/4602866203089485

ফেসবুকে লিখেলন, ‘ছোট বেলায় শুনেছিলাম যে, যদি নিজের মন ও হৃদয় বলে যে কেউ অন্যায় ভাবে তোমাকে দশ টাকা জরিমানা দিয়েছে তাহলে জরিমানাটা না দিয়ে আদালতে লড়াই করে, দরকার হলে একশো টাকা খরচ করে সেই জরিমানা revoke করাও |

অন্যায় ভাবে করা জরিমানা, যে যাই বলুক, কখনোই তা মেনে নেবে না। মেনে নিইনি আর তাই আড়াই বছর বাকি থাকা সত্ত্বেও বিজেপির হয়ে জেতা সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে একটুও দ্বিধা করিনি। 1992 সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের নিরাপদ চাকরি ছেড়ে বম্বে যাওয়ার সময়ও আমি ভয় পাইনি, আজও পাইনা’।
vcbbbbb
বাবুল সুপ্রিয়র এই পোস্টকে কেন্দ্র করে তাঁকেই আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনিও স্যোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়াটা যদি জরিমানা হয় তাহলে বিনা পরিশ্রমে রামদেব বাবার সুপারিশে এবং মোদিজীর জনপ্রিয়তাই সাংসদ হওয়াটা lottery তে প্রাইজ পাওয়ার মত নয় কি?’।
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর