বাংলাহান্ট ডেস্ক : আসানসোলে (Asansole) কম্বল বিতরণকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃ্ত্যু হয় ৩ জনের। এর জেরে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে নেটিস পাঠায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিস। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় তাঁকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়। কিন্তু আজ পুলিসে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখে তালা বন্ধ। উল্টে ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে আজ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন জিতেন্দ্র ও চৈতালি তিওয়ারি (Chaitali Tiwari)।
এরকম এক নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্যেই আজ একটি টুইট করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই টুইটে তিনি লেখেন, ‘ছেড়ে যাব না এই বাংলাকে। আমার জন্ম হয়েছে এই বাংলার মাটিতে। মৃত্যুবরণ করব এই বাংলা মায়ের কোলেই। আসানসোলের তৃণমূল নেতারা যা পারেন করুন।’ এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, নোটিসের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কোথায় তা দেওয়া হয়েছে তার কোনও খোঁজ আমি রাখিনি। আমার বাড়িতে আদৌও পুলিস গিয়েছিল কিনা তাও জানি না। তবে এটা বুঝতে পরছি যে বেশকিছু তৃণমূল নেতা রয়েছেন যারা চান না আমরা পশ্চিমবঙ্গে থাকি। ওরা আমাদের পশ্চিমঙ্গ থেকে তাড়াতে করতে চান। কিন্তু আমরা তো জন্মেছি এখানেই। এখানেই মৃত্যুবরণ করব। রাজনৈতিক ভাবে ওরা আমাদের মোকাবিলা করতে পারছেন না। আমার স্ত্রী চৈতালি যেভাবে কর্পোরেশনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে তাতে ওদের খুব অসুবিধে হচ্ছে। তাই হয়তো পুলিসকে লেলিয়ে দিয়ে আমাদের জব্দ করার চেষ্টা করছে।’
সে দিনের ওই ঘটনার পর রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়ে গেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দের নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধি দল মৃতদের বাড়িতে যায়। তাদের পাশে থাকার বার্তা দেয়। অপরদিকে, তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলও ওই তিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি তরফেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
কম্বল বিতরণ নিয়ে জেলা তৃণমূলের দাবি, গোটা বিষয়টাই এখন পুলিসের তদন্ত ও আইনের ব্যাপার। তাঁদের তরফ থেকে জানান হয়, ‘শুভেন্দু অধিকারীর সভায় লোক জোগাড় করতে কম্বল বিতরণ করা হয়েছিল। এর ফলে ৩ জনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। মানুষের জীবন নিয়ে এই মরণ খেলা জিতেন্দ্র তিওয়ারি শিখেছে বিজেপির কাছ থেকে।’