বাংলাহান্ট ডেস্ক : অর্জুন সিংয়ের পর এবার বেসুরো আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসানসোল কেন্দ্রে তৃণমূলের বিপুল ভোটে জয়ের পিছনে মমতার সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্পেরই অবদান দেখছেন তিনি। অমিত শাহের বঙ্গ সফরের ঠিক পরেই তাঁর এহেন বক্তব্যকে ঘিরে কার্যতই তুমুল শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে।
আসানসোলের লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে গোহারা হেরেছে বিজেপি। আর সেই হারের কারণ খুঁজতে গিয়েই এহেন বেসুর উঠে এলো দুঁদে বিজেপি নেতার গলায়। এদিন একটি ট্যুইট করেই নিজের উপলব্ধি প্রকাশ করলেন তিনি।
এই ট্যুইটটিতে তিনি লেখেন, ‘বাংলায় জিততে চান? আগে বাংলার মানুষের মন জয় করে দেখান।’ অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফরের ঠিক পরপরই বিজেপি নেতার এহেন ট্যুইটে কার্যতই বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। কাকে এই পাঠ শেখাতে চাইলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি? কাকেই বা উদ্দ্যেশ্য করে দিলেন উপদেশ?
একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকে একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। কিছুতেই যেন পায়ের তলায় মাটি শক্ত করতে পারছে না তারা। এহেন লাগাতার হারের পর দলের দিকেই আঙুল তুলে বিদ্রোহী হয়েছেন বহু তাবড় নেতা। দলও ছেড়েছেন একাধিক পদাধিকারীরা। শেষ আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে উলটে গেছে পাশা। বিজেপির দুবারের জয়ী আসন গেছে তৃণমূলের দখলে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির প্রাক্তন বিধানসভা পাণ্ডবেশ্বরেই রেকর্ড ভোট পেয়েছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে আঞ্চলিক নেতৃত্বের উপর তুমুল ক্ষাপ্পা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই এবার আসানসোলের দাপুটে নেতার এহেন ট্যুইটে যেন ঘৃতাহুতি হল জল্পনাতেই। তবে কি এবার তৃণমূলেই দেখা যেতে চলেছে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে? নানান মহলে উঠছে প্রশ্ন।
যদিও এই সমস্ত জল্পনাই উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি,’আমি বিতর্কের মত কিছুই বলিনি। এতে বিতর্কেরও কিছু নেই। আমি বলেছি মানুষের সমর্থন পেয়ে গেলে তাঁদের মন জয় করে দেখানো দরকার। এটা তো ঠিকই।’ সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকদের মন।জয় করা রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি করেছেন তিনি।