‘গাড়ির চালককেও প্রার্থী করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি’, ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়লেন বিজেপি নেতা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফের প্রকাশ্যে বিজেপির (bjp) অন্তর্দ্বন্ধ। এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির (jitendra tiwari) নামে অভিযোগ এনে গেরুয়া শিবির ছাড়লেন বিজেপি নেতা বিজয় ঠাকুর। প্রায় ২০০ জন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শনিবার জেলা তৃণমূল ভবনে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন আসানসোল পৌরনিগমের 38 নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির সভাপতি বিজয় ঠাকুর।

একটা সময় ছিলেন তৃণমূলের সৈনিক। তারপর দল বদলে নামে লিখিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। আর আবারও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটা সময় যখন তৃণমূলে ছিলাম, তখন এই জিতেন্দ্র তেওয়ারির জন্যই দল ছেড়েছিলাম। আর এখন বিজেপি ছাড়ার কারণও সেই একজনই, জিতেন্দ্র তেওয়ারি’।

768 512 14133039 thumbnail 3x2 photo aspera

তিনি আরও বলেন, ‘কর্মীদের কোন দাম নেই বিজেপিতে। কেস খেয়েছি, মার খেয়েছি, জেল গিয়েছি, কিন্তু কোন দাম নেই এখানে। সাধারণ কর্মীদের এখানে কোন সম্মানই নেই। যার টাকা আর সোর্স আছে, তাঁর কথাতেই সব হয়। আর সেই জন্যই বিজেপি ছেড়ে দিয়েছি’।

বিজেপি ছাড়ার কারণে দেখিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, নিজের সব লোক এমনকি তাঁর গাড়ির চালককেও প্রার্থী করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু ১০ বছর ধরে যারা দল করল, তাঁদের সম্মান নেই’।

অন্যদিকে বিজয় ঠাকুরের বিজেপি ছাড়ার প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, ‘কাউন্সিলর হওয়ার ইচ্ছা সকলেরই থাকে। কিন্তু সবাই কি আর প্রার্থী হতে পারে। প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়টা দল, আমাদের জেলা সভাপতি সবাই মিলে করেছি’।

এদিন আসানসোল পৌরনিগমের 38 নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির সভাপতি বিজয় ঠাকুরের সঙ্গে প্রায় ২০০ জন কর্মী সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়, জেলা চেয়ারম্যান উজ্জল চট্টোপাধ্যায় এবং আসানসোল পৌরনিগমের 106 টি ওয়ার্ডের আহ্বায়ক ভি শিবদাশন দাশুও।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর