দলত্যাগের সুর তোলায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ পেলেন না জিতেন্দ্র তিওয়ারি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগের ওই গণে গণেই তৃণমূল ছাড়তে চেয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (jitendra tiwari)। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী শাসক দলের ছত্রছায়া ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও, জিতেন্দ্র তিওয়ারির আগমনে বাঁধ সেধেছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

রীতিমত ফেলে দেওয়া থুতু আবারও গিলে নিয়ে সেই তৃণমূলেই ফিরে আসেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। গত ১৭ ই ডিসেম্বর তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেও হাতে রেখেছিলেন শুধুমাত্র বিধায়কের পদ। শুভেন্দুর পথ ধরেই বিজেপিতে যেতে চাইলে, তাঁর পথ আটকেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাধ্য হয়ে আবারও উল্টো সুর গেয়ে অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সবকিছু মিটিয়ে নিয়ে আবারও গিয়ে নাম লেখান শাসক দলে। তবে এবার পরিস্কার করে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দলে ফিরলেও হারানো পদ আর ফেরত পাবেন না তিনি। তাই সই, কোন গতি না হওয়ায় সেই তৃণমূলের ঝাণ্ডাই আবার হাতে তুল নিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

jitendra tiwari tmc fb

দলে ফিরলেও পুরনো সম্মান আর পাচ্ছেন না তিনি। হারানো পদ যেমন ফেরত পাননি, তেমন পাচ্ছেন না পূর্বেকার সম্মানও। পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া গেস্ট হাউজে আগামী ২ জানুয়ারি পশ্চিম বর্ধমান মহিলা তৃণমূলের সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র প্রকাশিত হয় বুধবার। সেই নিমন্ত্রণ পত্রে সংগঠনের চেয়ারপার্সন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যসহ জেলার সমস্ত নেতার নাম থাকলেও আমন্ত্রণপত্রে নেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, ‘হঠাৎ করেই আমি দল ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাই আমার প্রতি একটা অনাস্থার পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। তবে এটা ফিরে আসতে একটু তো সময় লাগবে। কয়েকটি কর্মসূচির আয়োজন করলেই সব আসতে আসতে ফিরে আসবে। নামও থাকবে আর সম্মানও পাব’।

এবিষয়ে জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মিনতি হাজরা বলেছেন, ‘চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবিষয়ে সবটাই জানেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই সমস্তটা হয়েছে। জিতেন্দ্রবাবু দলে থাকলে সভায় আসতে পারেন, বারণ করা হয়নি কাউকেই’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর