বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুরভোটের দিন পুলিশের সামনে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। এমনকি শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন “গায়ে হাত তোলার”। কিন্তু, ফলাফলের শেষে আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেই বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি জয়লাভ করেছেন।
চৈতালি, জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী। পুরভোটের দিন বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা। যদিও, সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা দেখা দেয় হাজি কদমস্কুলের বুথে। ভোটের দিন সকালে স্বামী জিতেন্দ্রকে নিয়েই স্কুলের বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন চৈতালি। কিন্তু, সেখানে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়ে তাঁকে।
যদিও, এই বিক্ষোভ তৃণমূলের লোক দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করছিলেন চৈতালি। এদিকে, জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে “বহিরাগত” অ্যাখ্যা দিয়েও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান যে, তিনি নির্বাচনী এজেন্ট। সেক্ষেত্রে তিনি বুথ পরিদর্শনে আসতেই পারেন। এছাড়াও, পুলিশও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয়।
এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সস্ত্রীক জিতেন্দ্র। এমনকি, চৈতালি তিওয়ারিকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সামনেই আঙ্গুল উঁচিয়ে তিনি বলতে থাকেন “ওদের এত হিম্মত কীভাবে হয়, আমার গায়ে হাত দেওয়ার।” তারপরেই পুলিশের সামনে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন চৈতালি।
এদিকে, এই ঘটনায় উল্টে তৃণমূল অভিযোগ করে যে, নাটক করছেন চৈতালি তিওয়ারি। যদিও, এই ঘটনার পরেও উত্তপ্ত থাকে পরিস্থিতি। জিতেন্দ্র তিওয়ারি কেন সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন, সেই প্রশ্ন তুলে নোটিস পাঠায় পুলিশ। এমনকি, তাঁকে ধাদকা এনসি লাহিড়ি স্কুলের ১০০ মিটার দূর থেকেও সরিয়ে দেয় পুলিশ। সবমিলিয়ে ভোটের দিন বারবার উত্তপ্ত হয়েছে আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড।
যদিও, ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল, সেই ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছেন চৈতালি তিওয়ারি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, “আমরা তো বোর্ড গঠন করতাম। আমরা যে ক’জন প্রতিরোধ গড়তে পারলাম, তাঁরাই জিতলাম। খারাপ লাগছে বোর্ড গঠন করতে না পেরে। কাল রাতেও স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ক্যামেরা এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল। কী বলবেন বলুন!”