বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা ঐশী ঘোষ এবং অন্যান্য পড়ুয়াদের ২০১৮ সালে করা একটি প্রদর্শন নিয়ে শোকজ করেছে JNU প্রশাসন। বিশ্ববিদ্দ্যালয় সেই সময়ে ঐশী ঘোষদের দ্বারা করা প্রদর্শন এবং আন্দোলনকে অনুশাসনহীনতা এবং লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়েছে। নোটিশের পরিপেক্ষিতে ঐশী ঘোষ জানিয়েছেন, কোভিড মহামারীর কারণে প্রশাসনিক অফিস বন্ধ থাকার পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের ভয় পাওয়ানোর জন্য এই কাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রক্টর রজনীশ কুমার মিশ্রা এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তিন বছর পর কেন এই নোটিশ জারি করা হয়েছে সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পড়ুয়ারা ফিস বৃদ্ধি নিয়ে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে সমস্ত কাজ পণ্ড করে দিয়েছিল। এরপর ২০২০ সালে মহামারী শুরু হয়ে যায়, আর এখন আমরা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
নোটিশে বলা হয়েছে যে, পড়ুয়ারা সেই সময় যেই গতিবিধি দেখিয়েছিল সেটা বিপজ্জনক ছিল। এছাড়াও হিংসার গতিবিধি আর ঘেরাও করা, ধরনা দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত দেওয়ার মতো সমস্ত গতিবিধি অথবা হিংসার উস্কানি দেওয়ার গতিবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান ২৫ ধারার বিরোধী। নোটিশে ঐশী ঘোষের বিক্ষোভ প্রদর্শনকে অনুশাসনহীনতা আর অসদাচরণ আখ্যা দিয়ে তাঁর কাছ থেকে এই বিষয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে।
ঐশী ঘোষকে নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ২১ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। ঐশী ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লিখেছেন, JNU তে কোনও প্রশাসনিক কার্যালয় মহামারীর কারণে কাজ করছে না। ক্যাম্পালে জলের সংকট দেখা দিয়েছে। পড়ুয়াদের টিকাকরণ হচ্ছে না। কিন্তু প্রধান প্রক্টরের অফিস পড়ুয়াদের ভয় পাওয়ানোর জন্য আর তাঁদের শাস্তি দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।