বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) এর ক্যাম্পাসে রবিবার রাতে হওয়া সংঘর্ষে অনেক ছাত্র আহত হয়েছে। সাবরমতি হোস্টেলে হওয়া হিংসার কারণে ছাত্ররা এখনো আতঙ্কে রয়েছে। পেরিয়ার হোস্টেলে হওয়া হিংসায় আহত ছাত্র রাজু জানায়, বিকেল ৪ থেকে ৪ঃ৩০ নাগাদ কিছু ছাত্র রেজিস্ট্রেশন করতে যাচ্ছিল। আর তাঁদের ধরে মারা হয়। যখন আমরা বিবেকান্দন্দের মূর্তির কাছে অ্যাডমিনকে মারধরের ব্যাপারে নালিশ করতে যায়, তখন ২০০ থেকে ৩০০ বাম ছাত্র সেখানে এসে পাথর ছুঁড়তে থাকে।
এরপর আমরা সেখান থেকে পালিয়ে পেরিয়ার হোস্টেলে চলে আসি। যখন আমরা হোস্টেলে আসি, তখন আমরা জানতে পারি যে, ৩০ থেকে ৪০ জন বাম ছাত্র সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিল আর তাঁরা আমদের সিনিয়ারদের মারধর করছিল।
রাজু বলে, এই হামলার পর আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগে বামাদের ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ এসে আমাদের উপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। ওঁরা আমাদের গালিগালাজও করে। ওঁরা আমাদের বলে আমরা সঙ্ঘি, ওঁরা আমাদের কলেজ থেকে বের করার হুমকি দেয়। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে ভিডিও করতে থাকি। তখনই সামনে থেকে কেউ আমার উপর পাথর ছোঁড়ে আর আমি আহত হয়ে যাই।
.@JNUSUofficial president Aishee Ghosh is seen with masked men inside JNU. They attacked with rods on girls and students and blamed ABVP. #ShutDownJNUpic.twitter.com/JE0DyJ1XN3
— Hitesh Bansal (@ihiteshbansal) January 6, 2020
রাজু জানায়, আহত হওয়ার পর আমার সিনিয়াররা আমাকে ছাদে নিয়ে যায়। রাজু জানায়, বেশিরভাগ ছাত্রদের মুখ ঢাকা ছিল, কিন্তু ওঁরা সবাই আমাদের ক্যাম্পাসের আর আমি তাঁদের সবাইকে চিনি। রাজু জানায়, ছাত্র সঙ্ঘের সভাপতি ঐশী ঘোষও সেখানে উপস্থিত ছিল। Aisa’র ও অনেক ছাত্র সেখানে উপস্থিত ছিল। আমি ওদের নামও জানি। আমি পুলিশের কাছে ওদের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে ওদের নাম দিয়েছি।