১১টি শূন্যপদে নিয়োগ ১৯ জন, ব্যাঙ্কে চাকরির দুর্নীতিতে নাম জড়ালো তৃণমূলের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতিতে বারবার সামনে এসেছে শাসকদলের নাম। শিক্ষক নিয়োগই হোক বা খাদ্য দপ্তরের নিয়োগ, সবেতেই দুর্নীতির প্রসঙ্গে নাম জড়িয়ে অস্বস্তিতে শাসকদল। তবে এবারে যে ঘটনা সামনে এলো তাতে শুধু রাজ্যবাসী কেন চোখ কপালে বিরোধী শিবিরেরও।

ঘটনার সূত্রপাত দক্ষিণ দিনাজপুরের সেন্ট্রাল কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নিয়োগকে ঘিরে। ১১ জনের শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও সেখানে নিয়োগের জন্য নামের তালিকা প্রস্তুত হল ১৯ জনের। এই ১৯ জন ছাড়াও আরও একটি অতিরিক্ত তালিকায় নাম রয়েছে আরও ২১ জনের। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরই সোচ্চার বিজেপি। লিখিত অঅভিযোগ দায়ের করা হল ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের কাছেও। যদিও কোনও রকম দুর্নীতি বা স্বজনপোষণ ঘটেনি এই নিয়োগে, সবটাই হয়েছে নিয়ম মেনে এই দাবিতেই অনড় ওই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বিপ্লব খাঁ।

সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পিয়ন পদে নিয়োগের জন্য ১৯ জনের নামের তালিকা, এবং অতিরিক্ত ২১ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। আগামী ৮ তারিখ থেকেই কাজে বহাল হতে বলা হয় তাঁদের। কিন্তু মাস খানেক আগের একটি বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় ওই ব্যাঙ্কে পিয়ন পদে ১১টি শূন্যস্থানের উল্লেখ করা হয়েছে। ১১ জনের শূন্যপদে কীভাবে ১৯ জনের নিয়োগ সম্ভব সেই প্রশ্ন তুলেই দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদেরই নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে।

ওই ব্যাঙ্কে ১১ টি পিয়ন পদের জন্য আবেদন করেছিলেন ১ হাজার ৮০ জন। তার মধ্যে পরীক্ষায় বসেন ৮৪২ জন। মাস খানেক আগে বালুরঘাটের একটি স্কুলে নেওয়া হয় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় সরাসরি নিয়োগের জন্য ১৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, অতিরিক্ত রয়েছে আরও ২১টি নাম। এই নামগুলিতে তৃণমূল নেতাদের আত্মীয় পরিজনরাই অগ্রাধিকার পেয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। আর এই অভিযোগেই সোচ্চার হয়েছে বিজেপি।

এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরাও। এক পরীক্ষার্থীর কথায়, ‘গতকাল দক্ষিণ দিনাজপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পিয়ন পদের পরীক্ষার সফলদের নামের লিস্ট বেরিয়েছে। যেখানে ১৯ জনের নাম রয়েছে। যে লিস্ট বেরিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যারা যোগ্য তারা সুযোগ পাননি। শাসক দলের নেতা কর্মী ও তাদের আত্মীয় পরিজনরা সুযোগ পেয়েছেন।’ বিষয়টির অভিযোগ দায়ের করা হলে পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানিয়েছেন জেলাশাসক।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর