বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও দুর্নীতির অভিযোগের তীর বীরভূমের তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। নিজের জামাই সহ আরও ১১ জনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৮২ লক্ষ টাকা জালিয়াতি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মঙ্গলকোট এলাকায়। অভিযুক্ত উপপ্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই পঞ্চায়েত উপপ্রধানের নাম শেখ হেকমত আলি। মঙ্গলকোটেরই ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তিনি। অভিযোগ সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে জামাই সহ ১২ জনের কাছ থেকে মোট ৮২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন ওই উপপ্রধান। কিন্তু দীর্ঘদিন কাটলেও কারওরই মেলেনি চাকরি। বহুবার এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও কোনও সদুত্তর দেননি হেকমত আলি। ফলে মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বদরুজ্জোহা নামক এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে বদরুজ্জোহার ছেলে গোলাম জসীমের সঙ্গে বিয়ে হয় অভিযুক্ত তৃণমূল উপপ্রধানের মেয়ের। আর বিয়ের ঠিক পরেই প্রাইমারি স্কুলে জামাইয়ের চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বদরুজ্জোহার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নেই হেকমত আলি। এছাড়াও পরিচিত কারও চাকরি দরকার হলে তাঁদেরকেও বলার জন্য বলেই। এভাবেই ১২ জন মোট ৮২ লক্ষ ৯০ টাকা দিলেও চাকরি জোটেনি কারও ভাগ্যেই। শেষমেষ বেয়াই হেকমত আলির নামে অভিযোগ দায়ের করেন বদরুজ্জোহা।
অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে আরও বড় এবং প্রভাবশালী কারও হাত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই দিকগুলিও। মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘হেকমতের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ শুনেছিলাম। তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকি ওই কার্যকলাপের জন্য আমাদের পার্টি অফিসেও ওকে ঢুকতে দেওয়া হত না। পঞ্চায়েত অফিসেও যেত না। আইন আইনের পথেই চলবে।’ তবে সব মিলিয়ে যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় তা বলাই বাহুল্য।