এখনই যাচ্ছে না চাকরি! কাজে যোগ দিতে পারবেন বরখাস্ত হওয়া ২৬৭ জন শিক্ষক, জারি পর্ষদের নয়া নির্দেশিকা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : জারি হল নয়া নির্দেশিকা।প্রাথমিকে ২৬৮ জনের চাকরি আপাতত বাতিল হল না। ‘মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারেন’, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্থগিতাদেশের পর, এবার চাকরিপ্রার্থীর জন্য নতুন নির্দেশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশ করা হল ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণদের নম্বর।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হেফাজতের মানিক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তিনি যখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন  ৫৮ হাজার পদে বেআইনি নিয়োগ হয়! কীভাবে? কলকাতায় ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছেন মানিক ঘনিষ্ঠ  তাপস মণ্ডল। তাপসের দাবি, ‘মানিক লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমায় কর্মীরা বলেছে, অফিস থেকে ফাইল ও টাকা যেত। লোক পাঠাতেন মানে ওঁর কাছেই যেত। অফলাইনে প্রাপ্য তো দিতেই হত।’

প্রসঙ্গত, এর আগে, ২০১৭ সালের টেটের দ্বিতীয় তালিকাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে হাইকোর্ট। ওই তালিকায় যে ২৬৯ জনের নাম ছিল, তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরির বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত। তাহলে কেন কাজে যোগ দিতে পারছেন না? গত সপ্তাহে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরি খোয়ানো ২৬৮ জন। এরপরই নয়া নির্দেশিকা জারি করল পর্ষদ। মামলাটির অবশ্য নিষ্পত্তি হয়নি এখনও।

প্রাথমিকে আবারও শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। শূন্যপদের সংখ্যার এগারো হাজারেরও কিছু বেশি।  পর্ষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি জানানো হশ, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নিচে, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। মামলাকারীদের দাবি, ‘২০১৪ ও ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। পাস করেছেন দু’বারই। যে বছর টেটে বেশি নম্বর পেয়েছেন, সে বছরের শংসাপত্রই জমা দিতে চান অনেকেই। কিন্তু  এখনও ২০১৪ সালের টেটের নম্বর জানায়নি পর্ষদ।

হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে ২০১৭ সালের টেটের নম্বর প্রকাশ করল পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ঘোষণা করলেন, ‘ভেরিফিকেশনের সময়ে প্রার্থীদের হাতে নম্বরের নথি থাকবে। চাইলে কোনও প্রার্থী চ্যালেঞ্জও করতে পারবেন। দু’একদিনের মধ্যেই ২০১৪ সালের টেটের নম্বরও প্রকাশ করা হবে’। এর আগে, সল্টলেকে পর্ষদের অফিসে গিয়ে সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর