বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্ভাবনা ছিলই। আর হলও তাই। জি২০ সম্মেলনে (G20 Conference) দেখা হল শক্তিশালী রাষ্ট্রনেতাদের। ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) বালিতে প্রায় চাঁদের হাট বসে গিয়েছে। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় সব থেকে আলোচিত রাষ্ট্রনেতা ঋষি সুনক (Rishi Sunak)।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলে ঋষি সুনাককে নিয়ে ব্যাপক হইচই রয়েছে প্রথম থেকে। যা এখনও চলছে পুরোদমে। এই প্রেক্ষিতেই ঋষির সঙ্গে দেখা হল মোদির। পিএমও অফিস থেকে এ বিষয়ে একটি টুইটও করা হয়। সেই টুইটে লেখা হয়- ‘প্রাইম মিনিস্টার @ নরেন্দ্র মোদী অ্যান্ড @ ঋষি সুনাক ইন কনভারসেশন ডিওরিং দ্য ফার্স্ট ডে অফ দ্য @ জি ২০ সামিট’। ঋষি সুনাকের সঙ্গে কথার পাশাপাশি ফরাসি প্রসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়।
তাই তার সঙ্গে বাকি বিশ্বের সংযোগরক্ষা অতি জরুরি। ভারতীয় শক্তির উৎস নিয়েও মোদী চিন্তিত, তিনি বিশ্বের সঙ্গে এর আদান-প্রদানের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। ইন্দোনেশিয়ার পরে ভারতই আগামী বছর জি২০ প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে থাকবে। জি ২০ বৈঠক বরাবরই অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এখানেই বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটা আভাস মেলে। এবারও সেই আভাস মিলেছে। চিনের সঙ্গে আমেরিকার দীর্ঘলালিত ঠান্ডা সম্পর্কের পুনরাবৃত্তি এবারেও লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু চিনের সেরা সময় সম্ভবত অতীত, এখন এশিয়ায় ভারত বড় শক্তি হিসেবে উঠে আসছে। ফলে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের নতুন সমীকরণ তৈরি হয়ে উঠছে।
জি ২০ বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বিশ্বের অগ্রগতির জন্য ভারতের এনার্জি-সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন তাঁরা শক্তির সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ চাপাবেন না, তবে, শক্তির ভারসাম্য বজায় থাকা জরুরি। তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে যত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে, তার সিংহভাগ হবে পুনর্নবীকরণযোগ্য বস্তু থেকে। তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের কথাও বলেন। মনে করিয়ে দেন, ভারত বরাবরই সিজফায়ারের পক্ষে। রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে বসবে, এটাই কাম্য। শান্তি মৈত্রী ও সুরক্ষার উপরই জোর দেন নরেন্দ্র মোদি।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা