বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (india) এবং আমেরিকার (america) মধ্যে এক গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যেকার এই বন্ধুত্ব আন্তির্জাতিক মহলে বহুল চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছিল। যেকোন পরিস্থিতিত তা সে পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধ হোক কিংবা চীনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানো, আবার শক্তিশালি অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করাই হোক- সব পরিস্থিতিতেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা।
বর্তমান সময়ে হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে হেরে গিয়ে ট্রাম্পের বিরোধ প্রদর্শনের ঘটনাকে গোটা বিশ্ববাসি ধিক্কার জানিয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধু ট্রাম্পের এহেন আচরণকে খুব একটা ভালো চোখেও দেখেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আমেরিকায় নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বিডেন (joe biden) এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে কোনভাবেই হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব ছাড়তে নারাজ ছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষমেষ ট্রাম্পের সমর্থকদের ক্যাপটাল হামলার ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে। ট্রাম্প হিংসার ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় ট্রাম্পের সকল স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশেষে হোয়াইট হাউস থেকে সরতে হয় ট্রাম্পকে।
এই পরিস্থিতিতে ভারত আমেরিকার পূর্বেকার সম্পর্ক কতটা টিকিয়ে রাখতে পারবেন আমেরিকার ৪৬ তম রাষ্ট্রপতি তা নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ জো বিডেন এবং কমলা হ্যারিস দুজনেই ভারতের সিটিজেন শিপ অ্যামেডমেন্ট অ্যাক্ট এবং আর্টিকেল ৩৭০ বিষয়ে মোদীর বিরুদ্ধে ছিলেন। তবে এই পরিস্থিতিতেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের হাত ধরে ভারত আমেরিকার সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, সেখান থেকে সেটা আর কেউ ভাঙ্গতে পারবেন না।
জানা গিয়েছে, ২০ শে জানুয়ারি আমেরিকার নব রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন জো বিডেন। পূর্বে নিজের ক্যাবিনেট গঠনে কিছুটা ধাক্কা পেলেও, শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছেন জো বিডেন। আশঙ্কার বিষয় হল- সেই তালিকায় দুজন পাকিস্তানী প্রতিনিধির নাম উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা রয়েছে। সূত্রের খবর- পূর্বেকার সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়ে পাকিস্তানের পিপলস পার্টির চেয়ারপারসন এবং তাঁর পিতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জো বিডেন। এমনকি পাকিস্তানের পিপলস পার্টির চেয়ারপারসন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার বিষয়েও জানা গিয়েছে।