২০০৭ বিশ্বকাপের নায়ক, ধোনির হাতে কাপ তুলে দেওয়া পেসারের অবসর! জানালেন ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও  

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে পাঁচ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন তরুণ ভারতীয় দল। সেই ম্যাচে ভারতীয় বাঁ-হাতি পেসাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। ইরফান পাঠান এবং আরপি সিং দুজনেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন ওই ফাইনালে। শ্রীশান্ত ওই ফাইনালে অনেক রান বিলিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সবাইকে ছাপিয়ে ওই ম্যাচের হিরো হয়ে উঠেছিলেন যোগীন্দর শর্মা। আজ সমস্ত ধরণের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ২০০৭ ফাইনালের সেই তারকা।

সেই বিখ্যাত ফাইনালে অত্যন্ত কৃপণ বোলিং করার পাশাপাশি ইউনিস খান ও শেষ ওভারে মিসবা উল হক-এর উইকেট নিয়েছিলেন। নিজে ৩.৩ ওভার বোলিং করে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন ফাইনালে। শেষ ওভারে একটি ওয়াইড বল করা ও একটি ছক্কা খাওয়ার পরেও ভারতকে জিতিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করে নিজের নাম লিখিয়ে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। মজার ব্যাপার হলো এর পরে আর ভারতীয় জাতীয় দলের হয়ে কোনও ম্যাচ খেলা হয়নি তার।

২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ওডিআই সিরিজের জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক করেন যোগীন্দর। নিজের কেরিয়ারে মাত্র চারটি ওডিআই এবং চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন এই মিডিয়াম পেসার। এছাড়া ৭৭টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে ২৯৭টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। আজই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।

কিন্তু ক্রিকেট ছাড়ার পর কি করবেন যোগীন্দর। নিজের এই অবসর নেওয়ার পোস্টে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। নিজের পরবর্তী জীবন ক্রিকেটের ব্যবসায়িক দিকটায় মনোযোগ দিতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সূত্রেই নানামরকম প্রদর্শনীমূলক প্রতিযোগিতাগুলিতে অংশ নেওয়ার কথাও ভেবে রেখেছেন তিনি।

নিজের কেরিয়ারে আইপিএলের মঞ্চেও নামার সুযোগ পেয়েছেন বর্তমানে ডিএসপির ভূমিকায় কাজ করা প্রাক্তন ভারতীয় পেসার। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ২০০৮ থেকে ২০১১ অবধি চার বছর হলুদ জার্সিতে ১৬ ম্যাচ খেলে ১২টি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে যোগীন্দর শর্মার নামের পাশে।

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর