বাংলাহান্ট ডেস্ক: আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সমস্ত পোস্ট মুছে ফেললেন জন আব্রাহাম (john abraham)। বলিউড অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল এখন সম্পূর্ণ খালি। শুধুমাত্র ফলোয়ার এবং ফলোয়িং তালিকা অর্থাৎ তিনি যাদের যাদের ফলো করেন এবং তাঁকে যারা যারা ফলো করেন সেই তালিকা এখনো রয়েছে। কিন্তু ফাঁকা শুধুমাত্র পোস্টের অংশটি।
ইনস্টাগ্রামে ৯০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে জনের। তিনি নিজে মাত্র ১০৮ জনকে ফলো করেন। অনেক পোস্টও করেছিলেন তিনি ইনস্টাগ্রামে। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত জনের ‘সত্যমেব ২’ ছবির প্রচারও ইনস্টাগ্রামেই করেছিলেন তিনি। কিন্তু এখন সেসব কিছুই নেই। এমনকি উড়ে গিয়েছে প্রোফাইল ছবিটিও। যদিও ফেসবুক এবং টুইটারে এখনো পর্যন্ত সব পোস্টই রয়েছে জনের।
তাহলে শুধুমাত্র ইনস্টার পোস্টই খালি করলেন কেন জন? অনেকে সন্দেহ করছেন, তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলটি হ্যাক করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ঘোষনা এখনো করেননি অভিনেতা। তবে কী নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনো কারণ? উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তুমুল ট্রোল হয়েছিলেন জন। হৃদরোগের কারণ ভুল ব্যাখ্যা করায় চরম ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অনেকের মতে, তাতেই তিতিবিরক্ত হয়ে ইনস্টাগ্রাম ত্যাগ করেছেন জন।
সম্প্রতি কপিল শর্মা শো তে এসে হার্ট অ্যাটাকের কারণ ব্যাখ্যা করেন জন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, তেল যেমন জলের ওপরে ভাসে, তেমনি ট্রাইগ্লিসারাইড হল রক্তের মধ্যে থাকা বুদবুদ। যখন মানুষ স্ট্রেসের মধ্যে থাকে তখন এই বুদবুদগুলিই হৃদযন্ত্রে পৌঁছে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়।
জনের এমন ব্যাখ্যা শুনে হতবাক নেটনাগরিকরা। আসলে হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে জড়িত মানসিক ও শারীরিক স্ট্রেসের যে কারণ অভিনেতা বলেছেন তা বিজ্ঞানসম্মত। কিন্তু বাকি বিষয়টাতেই গণ্ডগোল করে ফেলেছেন জন। যে ট্রাইগ্লিসারাইডকে তিনি রক্তের মধ্যে থাকা বুদবুদ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তা আসলে এক রকমের ফ্যাট। শরীরের যতটুকু ক্যালোরির প্রয়োজন না পড়ে তা ট্রাইগ্লিসারাইডে পরিণত হয়। পরে হরমোন সেই সঞ্চিত ফ্যাটকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
স্বাভাবিক ভাবেই জনের এমন বক্তব্য ট্রোলারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেরি করেনি। অনেকে তাঁকে নির্বুদ্ধি বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এই কারণেই কি আচমকা ইনস্টাগ্রাম ত্যাগের সিদ্ধান্ত জনের? তাহলে ফেসবুক, টুইটারে এখনো সক্রিয় রয়েছেন কেন তিনি? উত্তর মেলেনি। ইনস্টাগ্রামে কবে ফিরবেন সে বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেননি জন।