‘তৃণমূলে যাওয়া মানে, ইলেকট্রিক চুল্লিতে প্রবেশ করা’, বড় বয়ান বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে নির্বাচনের পূর্বেকার সময়ের যেন আবারও পুরাবৃত্তি ঘটছে। বাংলায় নির্বাচনের প্রাক্কালে দেখা গিয়েছিল দল ভাঙনের খেলা। সেই খেলা নির্বাচন পরবর্তীতেও সমানভাবে বজায় রয়েছে। তবে এবার বিজেপি ত্যাগীদের উদ্দেশ্যে বড় বার্তা দিলেন মিহির গোস্বামী (mihir goswami)।

প্রধানত বাংলার উত্তরের বিজেপি বিধায়কদের কিছুটা সতর্ক করে দিলেন এই রাজনীতিবিদ। প্রথম জীবনে তৃণমূলের সঙ্গে থাকার পর, দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পরে ঘাসফুল ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন পদ্মশিবিরে। তবে এবার পাহাড়ের বিজেপি বিধায়কদের কিছুটা সাবধান করে দিলেন মিহির গোস্বামী।

vjcvv

তিনি বললেন, ‘তৃণমূল যে কি, তা উত্তরবঙ্গের বিধায়করা খুব ভালো ভাবেই জানেন। আর যারা তৃণমূলে রয়েছেন, তাঁরাও খুব ভালো করেই জানেন কোন ইলেকট্রিক চুল্লিতে তাঁরা রয়েছেন। তৃণমূলে নাম লেখানোর অর্থ হল, জেনে শুনে ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে প্রবেশ করা’।

তাঁর কথায়, ‘সেই স্বাধীনতার পর থেকেই উত্তরবঙ্গের মানুষজন সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছেন। এমনকি বামেদের শাসনের সময় থেকে তৃণমূলের শাসন, এখনও বঞ্চিত হচ্ছে উত্তরবঙ্গবাসী। সমস্ত বিষয়ে রাজ্যকে রাজস্ব দিলেও, পায়নি কিছুই। নেই উন্নয়ন, নেই কর্মসংস্থান’।

tmc vs bjp 1609482776

মিহির গোস্বামী আরও বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসার পর শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা হয়েছে। কিন্তু তা তৈরি হলেও, সেখানে কোনও আধিকারিকই থাকেন না। সর্বদাই বিবাদ চলছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে। এখানে প্রায় ২ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তাই এখানকার মানুষেরা যদি কোন দাবী তোলেন, তাহলে তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সঙ্গেই থাকা উচিৎ’।

তিনি জানান, ‘উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়করা খুব ভালো ভাবেই জানেন যে, তৃণমূলে যাওয়া মানে জেনে শুনে ইলেকট্রিক চুল্লিতে প্রবেশ করা। তাই এখানে বিজেপির ভাঙনের কোন প্রশ্নই নেই’।


Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর