বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নথি জাল সহ নানা অভিযোগ তুলে যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেসময় রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তালিকা দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই যুবককে জানিয়ে দিয়েছিল, তাঁর প্রকৃত র্যাঙ্ক ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ে ১৮৯৫৩, আর ফার্মাসিতে ৩৫৩৮৩। এরপরেই ওই যুবক এক ধাপ এগিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ এনে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
এবার মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
উল্টে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেই দাবি করেন। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গেল বেঞ্চ তার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর ওই যুবক আবার ওই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যায় ডিভিশন বেঞ্চে। তখন সেখানে তার আইনজীবী জানায় তার মক্কেলকে তার প্রকৃত র্যাঙ্ক কী, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পরীক্ষার ওএমআর শিট দেখার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী সমাজ মজুমদার জানান তিনি নিশ্চিত ওই ছাত্রের প্রকৃত র্যাঙ্ক যথাক্রমে ১৮৯৫৩ ও ৩৫৩৮৩। তাই নথি জাল নিয়ে এফআইআর-ও করা হয়েছিল। পুলিশ চার্জশিটও দিয়েছে। এরপর জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের আইনজীবী অমিতাভ চৌধুরী জানান ওই প্রার্থী প্রথমে একবার তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন।
তখন তাকে তার প্রকৃত নম্বর এবং র্যাঙ্ক দেখানো হয়েছিল কিন্তু পরে আবার তিনি তার ওএমআর শিট দেখার আবেদন জানান। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে তিনি সেই আবেদন করায় তা আর গৃহীত হয়নি।
আরও পড়ুন: কেন জামিন সন্দীপ-অভিজিতের? RG Kar কান্ডে ফের আন্দোলনে ডাক্তাররা! সিপি-কে চিঠি…
তাই এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ যুবকের নতুন করে ওই ওএমআর শিট দেখার আবেদন কিংবা র্যাঙ্ক নিয়ে যুবকের দাবি খারিজ করে দিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে আদালতের (Calcutta High Court) যুক্তি একদিকে চলছে ফৌজিদারী মামলা। সেখানে ওই মামলায় প্রভাব পড়তে পারে এমন কোনো কিছু হাইকোর্ট ঘটাতে পারেনা হাইকোর্ট।
আদালতের বার্তা প্রথমবার যখন তিনি আবেদন করেছিলেন তখনই তিনি ওএমআর শিট দেখার আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তখন তা করেননি। তাই এক্ষেত্রে তার অন্য কোন অভিসন্ধিও থাকতে পারে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ও নথি দেখার পর এদিন আদালত মনে করেছে, মামলাকারীর কোনও আবেদনে মান্যতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।