বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিনেমা হোক বা সিরিয়াল, যেকোনো চরিত্রেই ছাপ রেখে যেতেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মৃণাল মুখোপাধ্যায় (Mrinal Mukherjee)। একাধিক নেতিবাচক চরিত্রেও দুরন্ত অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। তাঁরই মেয়ে জোজো (Jojo)। নিজ ক্ষেত্রে তিনিও একই রকম সফল। বাবার যোগ্য মেয়েই বলা যায়। কিন্তু গায়িকার আক্ষেপ, বাবা জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু যা প্রাপ্য ছিল, যতটা প্রাপ্য ছিল সেই সম্মানটা পাননি।
দীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ার মৃণাল মুখোপাধ্যায়ের। বড়পর্দা, ছোটপর্দা দুদিকেই সমান তালে কাজ করেছেন। আসলে কাজটাকেই ভালবাসতেন অভিনেতা। এই সময়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জোজো বলেন, পুরনো দিনের ধ্যানধারণার মানুষ ছিলেন। কাজের বাইরে নিজের প্রচার পছন্দ করতেন না।
কাজের মধ্যেই ডুবে থাকতেন অভিনেতা। জোজোর কথায়, তাঁর বাবা চাপা স্বভাবের মানুষ ছিলেন।এমনকি মেয়ের কাছেও নিজের ভাল লাগা, খারাপ লাগার অনুভূতিগুলো শেয়ার করতেন না। শেষ সময় পর্যন্ত কাজের কথাই বলে গিয়েছেন। শেষ শুটিংয়ের সময়েও মুখ ফুটে কাউকে যন্ত্রণার কথা বলেননি। দীর্ঘ রোগব্যাধির পর ২০১৯ এর মে মাসে প্রয়াত হন মৃণাল মুখোপাধ্যায়।
মেয়েকেও নিজের শিক্ষাতেই বড় করে তুলেছেন অভিনেতা। জোজো জানান, বাবা বলতেন খ্যাতির আশায় না থেকে শুধু নিজের কাজটাই মন দিয়ে করে যেতে। বাবা মা দুজনেই গান গাইতেন। তাঁদের কাছেই সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন জোজো। তাঁর কথা থেকেই জানা যায়, মৃণাল মুখোপাধ্যায় পুরাতনী গান ভালবাসতেন। চেয়েছিলেন, মেয়ে আরেকটু চর্চা করুক তাঁর কাছে।
জোজোর আক্ষেপ, তখন সেটা করতে পারেননি তিনি। ভাবতেই পারেননি যে মানুষটা এত তাড়াতাড়ি ফাঁকি দিয়ে চলে যাবেন। বাবা মেয়ে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। জোজো গানও গেয়েছেন মৃণাল মুখোপাধ্যায় অভিনীত একাধিক ছবিতে।
কাজের জায়গায় মেয়ের প্রশংসা শুনলে খুব গর্ব বোধ করতেন অভিনেতা। মেয়ের সাফল্যেই আনন্দ পেতেন। তবুও জোজোর আফশোষ, বাবা জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঠিকই। মানুষ মনেও রেখেছেন তাঁকে। তবুও সঠিক প্রচারের অভাবে যেটা প্রাপ্য সেটা পাননি অভিনেতা মৃণাল মুখোপাধ্যায়।