বাংলাহান্ট ডেস্ক: গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) ইস্যু দীর্ঘদিন ধরেই জ্বলন্ত সমস্যা রাজ্য সরকারের। পৃথক রাজ্যের দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলনরত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সম্প্রতি এই বিতর্কের আগুনে ধুনো দিলেন গায়িকা মিস জোজো (Jojo)। ‘গোর্খাল্যান্ড’এ ঘুরতে যাওয়ার ছবি দিয়ে নেটনাগরিকদের রোষের মুখে পড়েছেন তিনি।
ব্যাপারটা খোলসা করেই বলা যাক। কালিম্পংয়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় টুরিস্ট ডেস্টিনেশন রিশপে ঘুরতে গিয়েছেন জোজো। সঙ্গে তাঁর পরিবার। উদ্দেশ্য ছিল কাজের চাপ থেকে মুক্ত হয়ে কিছুদিন পাহাড়ের কোলে একটু আরাম করা। কিন্তু বিশ্রাম তো দূর, উলটে বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন জোজো।
ঘটনার সূত্রপাত ফেসবুকে জোজোর শেয়ার করা একটি পোস্ট থেকে। কোথাও ঘুরতে গেলে মানুষ যেমন ছবি শেয়ার করে থাকেন আর কী। পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্যকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে পরিবারের সঙ্গে একের পর এক ছবি তুলেছেন গায়িকা। কিন্তু সেসব ছাড়িয়ে নেটনাগরিকদের চোখ আটকায় জোজোর পোস্টের ট্যাগে।
লোকেশন হিসাবে তিনি ট্যাগ করেছেন রিশপ, গোর্খাল্যান্ড, ইন্ডিয়াকে। সঙ্গে সঙ্গে কমেন্ট বক্সে সোচ্চার হন নেটিজেনদের একাংশ। গোর্খাল্যান্ড আবার কবে হল? এই নামে পশ্চিমবঙ্গে তো জায়গা নেই? ভেসে আসে এমন ধরনের কমেন্ট।
কেউ জোজোকে প্রশ্ন করেছেন, তিনি কি গোর্খাল্যান্ড মেনে নিলেন নাকি? আবার কেউ সরাসরি তোপ দেগে জবাবদিহি চেয়েছেন গায়িকার কাছে। এটা কি অনিচ্ছাকৃত ভুল নাকি ইচ্ছাকৃত? জবাব কীভাবে আদায় করতে হয় মানুষ সেটা জানে, এমন ভাষাতেও শাসানো হয় জোজোকে।
যদিও তারপরেই ট্যাগটি মুছে ফেলেন জোজো। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, ইচ্ছা করে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাননি তিনি। ফেসবুক লোকেশনে রিশপ লেখায় আপনা থেকেই ওই ট্যাগটি নিয়ে নেয়। যেটা হয়েছে সেটা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত। তাঁর এতে কোনো হাত নেই।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরগরম হয়ে উঠেছিল পাহাড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কেএলও প্রধান জীবন সিংহ রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। পালটা মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার দেন, “ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও। তোমাদের বন্দুক ভোঁতা করতে জানি।”