বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জোড়াবাগানে (Jorabagan) নাবালিকা খুনের রহস্য উন্মোচন। অভিযুক্ত খোদ বাড়ির কেয়ারটেকর। সাড়াশি জেরায় অবশেষে স্বীকার করেছে খুনের কথা। খাবারের লোভ দেখিয়ে, যৌন নির্যাতন করে ওই নাবালিকাকে খুনের ছক- স্বীকার করলেন অভিযুক্ত কেয়ারটেকর।
ঘটনার স্বীকারোক্তিতে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭ টা নাগাদ বিরিয়ানির প্যাকেট এবং মাদক দ্রব্য নিয়ে ৯ বি বৈষ্ণব শেঠ ফার্স্ট লেনের ওই বাড়িতে ঢুকেছিলেন কেয়ারটেকর। রাত পৌনে ৮ টা থেকে মদ্যপান এবং ১২ টি জুভেনাইল পর্ণোগ্রাফি দেখতে থাকেন তিনি।
এরপর ওই বাড়ির দোতলার সিঁড়ির কাছে শিশুর গলার আওয়াজ পেয়ে গিয়ে দেখে সেখানে ওই ৯ বছরের নাবালিকা রয়েছে। নাবালিকাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বিরিয়ানি আর চিপস খাওয়ার তাঁকে। ধারণা করা হয়, খাবারের মধ্যেই মাদক দ্রব্য মেশানো থাকায়, খাবার খেয়েই অচৈতন্য হয়ে পড়া শিশুটিকে ছাদে নিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে যৌন নির্যাতন করে ওই কেয়ারটেকর।
নাবালিকার সাময়িক জ্ঞান ফিরলে, নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও অপারক হয় সে। তখন ভয়ে নাবালিকার মুখে ঘুষি মেরে মাথার চুলের মুঠি করে ধরে গলা টিপে ধরে। যার ফলে ওপরের পাটির চারটি দাঁত ভেঙে যায় ওই নাবালিকার। এরপর ওই নাবালিকার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে দেন।
জোড়াবাগানের কাণ্ডের তল্লাশিতে আনা হয়েছিল লালবাজারের স্নিফার ডগ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম, ফরেন্সিক টিম। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট হাতে পেতেই জানা গিয়েছিল, মৃতের পাকস্থলিতে ছিল বিরিয়ানি এবং চিপসের অংশ। যোনিতে মিলেছিল পেনিট্রেশনের চিহ্নও।