ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে আচমকাই ব্যারেটো! মোহনবাগানের প্রাক্তনী নিলেন লাল-হলুদ জার্সি, কেসটা কি?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফুটবল কেরিয়ারে তিনি ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রতিদ্বন্দ্বী। শুধু তাই নয়, কখনোই তিনি লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপাননি। সুদূর ব্রাজিল থেকে কলকাতায় এসে তিনি হয়ে গিয়েছিলেন মোহনবাগানের “ঘরের ছেলে”। ভালোবেসে পেয়েছিলেন “সবুজ তোতা” নামও । আর সেই হোসে মার্সিও র‌্যামিরেজ ব্যারেটো (José Barreto) আচমকাই বুধবার বিকেলে পৌঁছে গেলেন ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে।

ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে আচমকাই ব্যারেটো (José Barreto):

এমতাবস্থায়, এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। এমনকি, অবাক হয়েছেন অনুরাগীরাও। জানা গিয়েছে যে, লাল-হলুদ তাঁবুতে উপস্থিত হয়ে তিনি (José Barreto) ওই ক্লাবের আর্কাইভ ঘুরে দেখেন। তাঁবু ছাড়ার আগে মোহনবাগানের এই প্রাক্তন তারকা স্ট্রাইকার নিজের প্রতিক্রিয়াও জানান।

José Barreto went to East Bengal Club.

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নিজের কেরিয়ারে ডার্বি ম্যাচ থাকলেই রীতিমতো জ্বলে উঠতেন ব্যারেটো। গত বুধবার মোহনবাগানের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে উপস্থিত হয়ে বেশ কিছুটা সময় কাটালেন তিনি (José Barreto)। এর পাশাপাশি তিনি কথা বলেন ওই ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের সাথেও। এমতাবস্থায়, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে ব্যারেটোর হাতে লাল-হলুদ জার্সিও তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতেই ঘুরে যাবে কোহলির ভাগ্য? হবে “বিরাট” কামব্যাক! বেজায় খুশি ক্রিকেট অনুরাগীরা

এদিকে, ব্যারেটোর (José Barreto) এহেন আচমকাই ইস্টবেঙ্গল সফর ঘিরে জল্পনা শুরু হলেও এই বিষয়ে কোনও পক্ষের তরফে অফিশিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। যদিও, লাল-হলুদ শিবিরে কোচিং স্টাফ হিসেবে ব্যারেটো যোগ দিতে চলেছেন কিনা এই বিষয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে, দেবব্রত এহেন সম্ভাবনার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে ব্যারেটোর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো।

আরও পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় কিভাবে লাভবান হবে ভারত? কতটাই বা হবে ক্ষতি? জানুন বিস্তারিত

সেই কারণেই মোহনবাগানের প্রাক্তন এই তারকা ফুটবলার (José Barreto) ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, লাল-হলুদ তাঁবু ছাড়ার আগে ক্লাবের ভিজিটর্স বুকে ব্যারেটো লেখেন যে, ‘‘সত্যিই যা দেখলাম, তাতে আমি অবাক। আমি ইতিহাসের এক মহান অংশ প্রত্যক্ষ করলাম।’’

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর