বাংলা হান্ট ডেস্ক : তাঁর নাম গীতা সাকলানি। জোশীমঠের (Josheemath) আউলি রোডের বাসিন্দা তিনি। কয়েক দিন আগেই তাঁদের বাড়িতে এক বিরাট ফাটল দেখা যায়। প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছাড়তে হয় গীতার পরিবারকে। প্রশাসন তাঁদের সকলকে অন্য একটি জায়গায় স্থানান্তর করেছে। কিন্তু বসত বাড়ি ভেঙে যাওয়ার যান্ত্রণা ওই পরিবারটির চোখেমুখে স্পষ্ট। প্রশাসন তাঁদের বাড়িতে একটা বড় লাল রঙের কাটা চিহ্ন এঁকে দিয়েছে বিপজ্জনক বাড়িত হিসাবে বোঝাবার জন্য।
লাল দাগ মানেই ওই বাড়িতে আর বসবাস করতে পারবেন না কেউই। জোশীমঠের প্রত্যেক ফাটল দেখা দেওয়া বাড়ির বাসিন্দার একই অবস্থা। অধিকাংশ বাড়িতেই গভীর ফাটল। বসে যাচ্ছে রাস্তা। জমিতে সৃষ্টি হয়েছে বিরাট বিরাট ফাটলও। সব মিলিয়ে উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। প্রথম দফায়, ৬৭৮ টি বাড়ি এবং ২টি হোটেল সুরক্ষিত নয় বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সরানো হচ্ছে মানুষকে। লাল দাগ দেওয়া হচ্ছে বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে। প্রশাসনের তরফ থেকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ওই বাড়িগুলি। স্থানীয় বাসিন্দা ফ্যাকাশে মুখে তাকিয়ে রয়েছেন ধ্বংস হতে বসা জোশীমঠের দিকে।
জোশীমঠ থেকে আউলি যাওয়ার পথে আইটিবিপির ছাউনি থেকে একটু এগিয়ে চোখে পড়বে একটি বাড়ি। তার অদূরেই রয়েছে একটি দোকান। সেটির সাটার বন্ধ। রাস্তা থেকে সরাসরি একটি সিঁড়ি উঠে গেছে দোকান পর্যন্ত। ওই সিঁড়ির ধাপে রয়েছে ফাটলের দাগ। ওই দোকান এবং রাস্তার মাঝেও দেখা যাচ্ছে বড়সড় একটি ফাটল। এই খালি বাড়িগুলিই জোশীমঠের উপর ধ্বংসের প্রমাণ।
ইতিমধ্যে একটি মহিলা আসেন। সেই ভাঙা একটি বাড়িতেই ঢুকে পড়েন তিনি। তাঁর হাতে ছিল একটা বালতি। তিনি এই বিপজ্জনক বাড়িতে ঢুকলে দুধ নেওয়ার জন্য। তাঁর তিনিটও গরু এখনও রয়েছে ওই বাড়ির গোয়াল ঘরে। দরজা খুলে বাড়িতে প্রবেশ করেই থমকে যান তিনি। কয়েক দিনের মধ্য ভগ্নদশা হয়েছে বাড়িটির। জোশীমঠের প্রত্যেকটি পরিবারেরই একই দশা। প্রত্যেকটি গল্পের সঙ্গেই মিল রয়েছে গীতা সাকলানির গল্পের।