এখনো ওয়েটিং লিস্টেই রয়ে গেলেন, তৃণমূলের সভায় জয় বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়কে দেখেই কটাক্ষ বিজেপির

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক চুকিয়েছেন। তৃণমূলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন জয় বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় (Joy Banerjee)। এখনো পর্যন্ত খাতায় কলমে সবুজ শিবিরে ঢুকতে না পারলেও চেষ্টার কোনো কসুর করছেন না প্রাক্তন অভিনেতা। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়ার পুরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কর্মীসভাতেও যোগ দেন তিনি।

পুরভোটের আগে উলুবেড়িয়ার রবীন্দ্রসদনে একটি সভার আয়োজন করেছিল ঘাসফুল শিবির। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন জয় বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। এদিন আবারো বিজেপিকে নিয়ে অভিমান শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। জয় অভিযোগ করেন, তিনি যখন করোনা আক্রান্ত ছিলেন তখন বিজেপির কেউ একবার খোঁজ পর্যন্ত নেননি। উপরন্তু কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা এক গণবিবাহের অনুষ্ঠানে গিয়ে ঢোল বাজাচ্ছিলেন।

joy banerjee
জয় বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় অভিমান করে বলেন, তিনি এক সময় বিজেপির হয়ে গোটা রাজ‍্যে প্রচার করেছেন। কিন্তু এখন যখন দলের নাম হয়েছে তখন পুরনোদের আর কোনো গুরুত্ব নেই। নেতাদের এই ‘স্বার্থপরতা’র জন‍্যই তিনি বিজেপি ছেড়েছেন বলে দাবি করেন জয়। তিনি জোর গলায় বলেন, এখন থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তৃণমূলের সঙ্গেই থাকতে চান তিনি।

যদিও বিজেপির কটাক্ষ, ব‍্যক্তিগত স্বার্থের জন‍্য পদ্ম শিবির ছেড়েছেন জয়। দল তাঁকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছিল। দুবার লোকসভা নির্বাচনের টিকিট পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাও পেয়েছিলেন। এখন তৃণমূলের ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন জয় বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়।

joy2
২০১৪ সালেরও আগে থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে রয়েছেন জয় বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়পাধ‍্যায়। ২০১৭ তে তাঁকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস‍্য বানানো হয়। কিন্তু তৃণমূল বিক্ষুব্ধ রাজীব বন্দ‍্যোপাধ‍্যা বিজেপিতে এলে জয়কে সরিয়ে রাজীবকে কর্মসমিতির সদস‍্য বানানো হয়। অথচ রাজীব ফের তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন এই ঘটনা নিয়েও অভিমান প্রকাশ করেন জয়।

বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েও অবশ‍্য কিছু করতে পারেননি জয়। গত নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন জয়। তাঁর অভিযোগ ছিল একাধিক। গত দু বছর ধরে দলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদেই ছিলেন তিনি। কিন্তু কাজ করার সুযোগ মেলেনি। উপরন্তু রাজীব বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় বিজেপিতে আসলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জয়।চিঠিতে তিনি জানান, কঠিন অসুখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ বারংবার দলের কাছে হাত পাইলেও কেউ কানাকড়িও দেয়নি। এমনকি নরেন্দ্র মোদীও সাক্ষাৎ করেননি তাঁর সঙ্গে। মিলিত ক্ষোভ অভিমানেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর