বাংলাহান্ট ডেস্ক: অনেকদিন ধরেই বেসুরে বাজছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (joy banerjee)। বিজেপিতে (bjp) কাজের সুযোগ নেই বলে গত বছর নভেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাঁর দলত্যাগ এবং পুনরায় ফুল বদলের।
নতুন বছরে সেই জল্পনাটাই বাস্তবে পরিণত হল। তৃণমূল (tmc) ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে আবারো তৃণমূলেই কামব্যাক করছেন জয়, সূত্রের খবর বলছে এমনটাই। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি তাঁকে দলে ফেরানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। শনিবারই তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারতেন।
এদিন বিধাননগর পুরসভায় দলের নেতাদের সঙ্গে জয়ের বৈঠক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনটা মিটলে তারপরই তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে খবর মিলেছে।
২০১৪ সালেরও আগে থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে রয়েছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৭ তে তাঁকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য বানানো হয়। কিন্তু তৃণমূল বিক্ষুব্ধ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যা বিজেপিতে এলে জয়কে সরিয়ে রাজীবকে কর্মসমিতির সদস্য বানানো হয়। অথচ রাজীব ফের তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন এই ঘটনা নিয়েও অভিমান প্রকাশ করেন জয়।
বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েও অবশ্য কিছু করতে পারেননি জয়। গত নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন জয়। তাঁর অভিযোগ ছিল একাধিক। গত দু বছর ধরে দলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদেই ছিলেন তিনি। কিন্তু কাজ করার সুযোগ মেলেনি। উপরন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে আসলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জয়।চিঠিতে তিনি জানান, কঠিন অসুখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ বারংবার দলের কাছে হাত পাইলেও কেউ কানাকড়িও দেয়নি। এমনকি নরেন্দ্র মোদীও সাক্ষাৎ করেননি তাঁর সঙ্গে। মিলিত ক্ষোভ অভিমানেই দল ছাড়ার সিদ্ধন্ত নেন তিনি।
বেশ কয়েক মাস ধরেই দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা যাচ্ছিল জয়কে। গত উপ নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করা নিয়ে অসন্তোষের সূত্রপাত জয়। পরিস্কারই জানিয়েছিলেন তিনি, বাংলায় ক্ষমতা লাভের জন্য প্রথমে বাঙালি প্রার্থী দিতে হবে বিজেপিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০ হাজার ভোটে জিতবেন সে ভবিষ্যৎবাণীও করেছিলেন জয়। এমনকি তিনি এও বলেছিলেন, বাঙালির মন পেতে দূর্গাপুজো করছে গেরুয়া শিবির।