বাংলাহান্ট ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। বিজেপি (bjp) ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতা তথা দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (joy banerjee)। দলের অভ্যন্তরে কাজের সুযোগ নেই। নিজের ব্যক্তিগত অসুবিধার সময়ে দলের থেকে কোনো সাহায্যও পাননি। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন জয়। সেখানে সৌজন্যতা দেখিয়ে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানালেও তাঁর অভিমান স্পষ্ট ফুটে উঠেছে চিঠিতে। তাঁর অভিযোগ একাধিক। গত দু বছর ধরে দলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদেই রয়েছেন তিনি। কিন্তু কাজ করার সুযোগ মেলেনি। উপরন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে আসলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জয়। ২০১৪ সালেরও আগে থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। ২০১৭ তে তাঁকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য বানানো হয়। কিন্তু তৃণমূল বিক্ষুব্ধ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যা বিজেপিতে এলে জয়কে সরিয়ে রাজীবকে কর্মসমিতির সদস্য বানানো হয়। অথচ রাজীব ফের তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়েও অভিমান প্রকাশ করেছেন জয়।
বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েও অবশ্য কিছু করতে পারেননি জয়। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, কঠিন অসুখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ বারংবার দলের কাছে হাত পাইলেও কেউ কানাকড়িও দেয়নি। এমনকি নরেন্দ্র মোদীও সাক্ষাৎ করেননি তাঁর সঙ্গে। মিলিত ক্ষোভ অভিমানেই দল ছাড়ার সিদ্ধন্ত নিয়েছেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা যাচ্ছিল জয়কে। উপ নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করা নিয়ে অসন্তোষের সূত্রপাত হয়। পরিস্কারই জানিয়েছিলেন তিনি, বাংলায় ক্ষমতা লাভের জন্য প্রথমে বাঙালি প্রার্থী দিতে হবে বিজেপিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০ হাজার ভোটে জিতবেন সে ভবিষ্যৎবাণীও করেছিলেন জয়। এমনকি তিনি এও বলেছিলেন, বাঙালির মন পেতে দূর্গাপুজো করছে গেরুয়া শিবির।