বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাহুবলীর পর ভারতীয় চলচ্চিত্রকে আবারো আন্তর্জাতিক স্তরে বিশেষ সম্মান এনে দিয়েছে ‘আর আর আর’। এস এস রাজামৌলি ইন্দ্রজাল রচনা করেছেন রাম চরণ ও জুনিয়র এনটিআরের মাধ্যমে। প্রাক স্বাধীনতার ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কঠিন বাস্তব তুলে ধরেছেন ছবিতে। দর্শকরাও ঢালাও প্রশংসা করেছে ‘আর আর আর’এর। রেকর্ড ভাঙা ব্যবসা করেছে ছবিটি।
সেভাবে কোনো নায়িকা না থেকেও দুজন নায়কের জোরে কোনো ছবি এত সাফল্য পেতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছেন রাজামৌলি। প্রভাস ও আল্লু অর্জুনের পরে রাম চরণ ও জুনিয়র এনটিআর নতুন ক্রাশ হয়ে উঠেছেন গোটা দেশের। দুজনের তুখোড় অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই।
কিন্তু কথায় বলে, পর্দায় যা দেখা যায় তা সবসময় বাস্তব হয় না। ছবিতে রাম চরণ ও জুনিয়র এনটিআরের বন্ধুত্ব চোখে জল এনে দিয়েছে দর্শকের। বাস্তবে কিন্তু বিষয়টা একেবারেই উলটো। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দুই অভিনেতার পরিবার একে অপরের ঘোর শত্রু। আর আর আর মুক্তির পর একথা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন পর্দার ‘কোমারম ভীম’।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জুনিয়র এনটিআর বলেন, “৩০-৩৫ বছর ধরে শত্রু হয়ে থেকেছে দুই পরিবার। আমরা একে অপরের শত্রু, আবার বন্ধুও বটে। সেদিক থেকে বলতে গেলে আমাদের মধ্যে খুব ইতিবাচক শত্রুতা রয়েছে।” তবে ‘আর আর আর’ সবটা বদলে দিয়েছে। এত বছরের শত্রুতা বদলে গিয়েছে বন্ধুত্বে। সবথেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছেন রাম চরণ ও জুনিয়র এনটিআর।
গোটা বিশ্বে ব্যবসার নিরিখে ১০০০ কোটি ছুঁতে চলেছে ‘আর আর আর’। ছবির এত বড় সাফল্য উপলক্ষে সম্প্রতি মুম্বইয়ে বিরাট পার্টির আয়োজন করেছিলেন রাজামৌলি। ছবির দুই নায়ক তো উপস্থিত ছিলেনই। এছাড়াও আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল করন জোহর, আমির খান, হুমা কুরেশি, জাভেদ আখতারের নাম। তবে ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্রাভিনেতা অজয় দেবগণ ও আলিয়া ভাট অনুপস্থিত ছিলেন পার্টিতে।