বাংলা হান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। প্রকাশ্যে আসছে একটার পর একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী ভাবে এই ছাত্রের মৃত্যু হল? মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রথম বর্ষের এই ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কোথাও কি র্যাগিং তত্বও জুড়ে রয়েছে? এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই উঠে আসছে একাধিক নয়া তথ্য।
মিডিয়া সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর জামিন খারিজ করেছে আলিপুর আদালত। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে থাকতে বলে খবর। আদালত জানিয়েছে, এই ঘটনায় সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। তারমধ্যেই এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার।
এই সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেছেন, ‘‘পিক অ্যান্ড চুজ় করে ছাত্রকে মারা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আদালতে পুলিশের জমা দেওয়া কেস ডায়েরি অনুযায়ী, প্রথম বর্ষের ঐ পড়ুয়াকে গামছা ঢাকা দেওয়া অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঐ গামছায় রয়েছে রক্তের দাগ। পুলিশের দাবি, ওই ঘটনার পরপরই নাকি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিল সৌরভ এবং তার সঙ্গী সাথীরা। যদিও পরে নাকি ঐ গ্রুপটি ডিলিট করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : ছোট্ট বয়সেই বিয়ে! ‘দিদি নাম্বার ১” চপ বেচেই বাজিমাত, শ্রীরামপুরের উমার দৈনিক আয় অবাক করবে
খবর যা, একজন প্রাক্তনী হয়েও সৌরভ হস্টেলে কেন থাকেন তারই অজুহাত আলোচনা করা হয়েছিল সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। তা নিয়ে চলেছিল বিস্তর আলোচনা। তদন্তের স্বার্থে সৌরভ এবং অপর এক ধৃতকে সামনাসামনি বসিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে জেরাও করে পুলিশ। আর তাতেই উঠে আসে দুটি মোবাইলের হদিস। ইতিমধ্যে সেই ফোনগুলিকেও উদ্ধার করেছে বলে খবর।
আরও পড়ুন : ময়ূরীকে সত্যি বলতে বাধ্য করল মেঘ, বড় সিদ্ধান্ত নীলের! প্রকাশ্যে ‘ইচ্ছেপুতুল’র ধামাকা পর্ব
এদিকে, সৌরভ চৌধুরীর আইনজীবী আদালতের কাছে আবেদন করেন, সৌরভকে যেন সংশোধনাগারের কোনও দাগী আসামীর সঙ্গে না রাখা হয়। তার অভিযোগ, সৌরভ সংক্রান্ত তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি। যদিও সরকারি কৌঁসুলি এবং পুলিশ এই দাবি মানতে নারাজ। একদিকে ধৃত সৌরভের আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘পিক অ্যান্ড চুজ় করা হচ্ছে।’’ অন্যদিকে সরকারি আইনজীবীর কথায়, ‘‘পিক অ্যান্ড চুজ় করে দল বেঁধে মারা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন : ‘একটুও ভাল লাগেনি’, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে মেয়ের জন্য মরনোত্তর সম্মাননা নিয়ে এ কী বললেন ঐন্দ্রিলার মা?
দুই পক্ষের এই সওয়াল জবাব শোনার পর সৌরভের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন মহামান্য আদালত। এইদিন আদালতে প্রবেশ করার সময় মিডিয়ার মুখোমুখি হতে হয় সৌরভকে। যাদবপুরে গাঁজা চাষ থেকে শুরু করে র্যাগিং তত্বের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাকে। যদিও এইসব কোনও প্রশ্ন নিয়েই মুখ খোলেননি এই প্রাক্তনী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে সৌরভকেই ‘কিংপিন’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও সৌরভের দাবি, সে নির্দোষ।