সৎ মায়ের অত্যাচারে ঠাঁই হয়েছিল রাস্তায়! নতুন ঠিকানা দিয়ে মন জিতলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সৎ মা অত্যাচার করত। এর ফলে ঠাঁই হয় রাস্তার আস্তাকুঁড়েতে। সেই আস্তাকুঁড়ে থেকে এবার নতুন ঠিকানা দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এক সাঁওতাল বাড়ির ছেলের থাকা ও শিক্ষার সব রকম ব্যবস্থা করে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

অনগ্রসর শ্রেণীর সামনে এগিয়ে চলার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে সাহায্য করার দরকার ছিল আদালতের মাধ্যমে সেই সাহায্য করে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিচারপতি।

২০১৫ সালে ঘটনার সূত্রপাত। সাঁওতাল শিশুটির মা রোগ ভোগের কারণে মারা যান।মা মারা যাবার পর পেশায় অশিক্ষক কর্মী বাবা বংশী টিঙ্গুয়া আবার বিয়ে করেন। তারপর রহস্যজনক ভাবে মারা যান বংশী। বাবার মৃত্যুর পর সেই চাকরিটি পান শিশুটির সৎ মা। চাকরির শর্ত অনুযায়ী সৎ মা দায়িত্ব নেবেন পরিবারের। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পরই ভোল বদল হয়ে যায় সৎ মায়ের। বঞ্চনার শিকার হতে থাকেন ১৪ বছরের এই শিশু। দাদুকে নিয়ে আশ্রয় নেন গাছ তলায়। ত্রিপল খাটিয়ে চলতে থাকে তাদের সংসার। অবশেষে উপায় না পেয়ে দাদু দয়ানাথ মামলা করেন কোর্টে।

অভিযোগ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ ন্যূনতম সুবিধাও পান না তারা।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দাদু ও নাতির বাসস্থানের চিত্র দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান। এরপরই, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সব দেখে শুনে জেলা শাসককে নির্দেশ দেন নির্দিষ্ট প্রকল্পের অধীনে অসহায় শিশু ও বৃদ্ধর জন্য বাড়ি বানিয়ে দিতে। পাশাপাশি শিশুটিকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন স্কুলে। শুনানি শেষে বিচারপতি শিশুটিকে বলেন,”মন দিয়ে পড়াশুনা করো। আমরা সবাই তোমার সাথে আছি।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর