আচমকাই অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি! এখন কেমন আছেন কালীঘাটের কাকু? যা জানালেন আইনজীবী…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) সূত্রে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। বিগত বেশ কিছুটা সময় ধরে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। গত ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের দিন আচমকাই জ্ঞান হারান ‘কাকু’। আদালতে আসার পথেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। শনিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান বিচারক।

এখন কেমন আছেন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)?

শনিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে সুজয়কৃষ্ণর প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। জবাবে কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী জানান, এখনও আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছে তাঁর মক্কেল।

এদিন বিচারক জিজ্ঞেস করেন, আপনার মক্কেল প্রাতঃরাশ করল? জ্ঞান আছে নাকি নেই? উত্তরে ‘কাকু’র আইনজীবী সোমনাথ সান্যাল বলেন, ‘সেন্স রয়েছে। জ্ঞান মাঝেমধ্যে আসছে যাচ্ছে। এখনও আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে’।

আরও পড়ুনঃ ‘দলে দু’রকম মত রয়েছে…’! তৃণমূলের ‘হাঁড়ির খবর’ ফাঁস করলেন ব্রাত্য! শিক্ষামন্ত্রীর কথায় তোলপাড়

গত ৩০ ডিসেম্বর সুজয়কৃষ্ণ আচমকা সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে প্রথমে তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতে নিউ আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ‘কাকু’কে। প্রথমে আইসিইউ এবং পরবর্তীতে সিসিইউতে পাঠানো হয় তাঁকে। গত বুধবার রাতে সুজয়কৃষ্ণকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

Primary recruitment scam accused Sujay Krishna Bhadra AKA Kalighater Kaku suddenly fell sick

এদিকে কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী আদালতে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানিয়েছিলেন, তার সঙ্গে মেডিক্যাল রিপোর্টের (Medical Report) পার্থক্য রয়েছে। সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেলের পেসমেকারের সমস্যা রয়েছে। পেসমেকার বসানোর পর ১০ বছর অতিক্রান্ত। ব্যাটারি কাজ না করার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

অন্যদিকে কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku) নিউ আলিপুরের যে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার রিপোর্ট অনুযায়ী, সুজয়কৃষ্ণকে সেখানে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর সেই মুহূর্তে হার্ট সংক্রান্ত কোনও সমস্যা মেলেনি। সেই সময় হৃদরোগ সম্বন্ধিত কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল না।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর